সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি বলিউডের 'মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর'। বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই আজকের দিনে কার কথা হচ্ছে? তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন সলমন খান। তাঁকে 'কিসি কা ভাই কিসি কি জান'। এক্ষেত্রে বলা ভালো পুরুষ অনুরাগীদের কাছে তিনি ভাই আর মহিলা অনুরাগীদের কাছে তিনি জান। এহেন সলমনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। ২৭ ডিসেম্বর, শনিবার ষাটে পা দিয়েছেন সলমন। কিন্তু তারপরেও তাঁর প্রেম জীবন বহুলচর্চিত। তবে বাস্তবজীবনে সলমনের প্রেম নিয়ে যতরকমের চর্চাই থাকুক না কেন পর্দাতে তিনি বিভিন্ন চরিত্রে বিভিন্ন সময় দুরন্ত প্রেমিক হয়ে ধরা দিয়েছেন।
কখনও রাগী প্রেমিক তো কখনও আবার আদ্যোপান্ত 'লাভার বয়'। কখনও তিনি পর্দায় 'সমীর, হাওয়া কা ঝোঁকা', তো কখনও আবার 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়'র নিঃস্বার্থ প্রেমিক 'আমন', আবার তিনিই 'তেরে নাম'র রগচটা প্রেমিক 'রাধে মোহন'। বাস্তবে সলমন যেমন প্রেমিকই ঘন না কেন তাঁর বহু ছবির চরিত্রই তাঁকে দেখলে এককথায় 'গ্রিন ফ্ল্যাগ' প্রেমিকের সংজ্ঞা মেলে। এই তালিকায় রয়েছে কোন কোন ছবি জেনে নিন। একইসঙ্গে আপনার সঙ্গীর মধ্যে এই গুণগুলি বর্তমান কিনা এবং তিনি আপনার প্রতি ঠিক কতটা লয়্যাল সেটাও বুঝে নিন।
নয়ের দশকের 'হাম আপকে হ্যায় কৌন' সলমনের তো বটেই একইসঙ্গে বলিউডের আইকনিক ছবির মধ্যে অন্যতম। পর্দায় মাধুরী ও সলমনের রয়ায়ন আজও এক নতুন প্রেমের সংজ্ঞা বোনে। নিঃশর্ত ভালোবাসা ঠিক কী হয় তা যেন এই ছবি এবং ছবিতে সলমনের চরিত্র 'প্রেম' ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই ভালোবাসায় যে শর্ত আরোপিত থাকবে না সেকথা বলাই বাহুল্য।
যাকে ভালোবাসবে সে যেমন তাকে সেভাবেই ভালোবাসো, এমনকী ভালোবাসার মানুষের ভালো থাকা দেখতে নিজের সবটুক্য ত্যাগ করার মতো বিষয় পর্দায় সলমনই দেখিয়েছিলেন। 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' ছবিতে সলমনের চরিত্র ছবির শেষে এমনটা আরও ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তাই সম্পর্কে থাকলে এই বিষয়টাও মাথায় রাখবেন। লক্ষ্য করতে ভুলবেন না যে আপনার সঙ্গী আপনি ঠিক যেমন তেমনভাবেই আপনাকে ভালোবাসে কিনা।
মনের মানুষকে না পেয়েও তার জন্যই গোটা জীবনটা একা কাটিয়ে দেওয়া যায় তা বুঝিয়েছিল 'হাম দিল দে চুকে সনম'র সমীর। নন্দিনীর প্রেমে হাবুডুবু খেয়েও তাকে না পেয়ে বিদেশে ফিরে নতুন করে জীবন শুরু করলেও নতুন প্রেমের সম্পর্ক আর সে শুরু করেনি। লয়্যাল থেকেছিলেন প্রাক্তিন প্রেমিকার প্রতিই।
সমস্ত বাধা পেরিয়ে ভালোবাসাকে নিজের করে পেতে ঠিক কী কী কঠিন চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আসতে হয় তা বুঝিয়েছিল সলমনের 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া' ছবিটি। সমস্ত প্রতিকূলতার শেষেও সুমনের প্রতি ভালোবাসা অপরিবর্তিত ছিল প্রেম চৌধুরীর। আর এই দুই আইকনিক চরিত্রে দর্শক দেখেছিলেন ভাগ্যশ্রী ও সলমনকে।
লাভার বয় লুক ছেড়ে 'রাউডি' লুকেও কিন্তু পর্দায় সলমনের অরেমিক সুলভ আচরণ নজর কেড়েছে দর্শকের। সঙ্গী যতই রাফ অ্যান্ড টাফ হন না কেন স্ত্রী বা প্রেমিকার প্রতি তাঁর ভালোবাসা অকুণ্ঠ থাকবে এমন প্রত্যাশা বোধহয় প্রতিটি মেয়েই করে। আর তাই এক্ষেত্রে উঠে আসে সলমনের 'দাবাং'রূপী পুলিশ অফিসারের চরিত্রটি চর্চায়। যেখানে সারা দুনিয়ার প্রতি যতই কঠিন হন না কেন তিনি স্ত্রী 'রাজ্জো'র কাছে কিন্তু ছিলেন আদ্যোপান্ত এক প্রেমিক-স্বামী।
