সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতা নিয়ে ফ্যান্টাসি নতুন নয়! নিজেদের একঘেয়ে জীবনকে রঙিন করতে সঙ্গীর সঙ্গে নানান ধরনের যৌনাচার করে থাকেন অনেকে! কখনও কখনও আবেগঘন মুহূর্তে সঙ্গীকে শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়াটাও একধরনের ফ্যান্টাসি। বিকৃত এই যৌনতার পোশাকি নাম 'বিডিএসএম' বা 'বন্ডেজ' যৌনতা। আর স্বামীর এই ফ্যান্টাসির নেশায় প্রাণ গেল এক মাঝবয়সি মহিলার। তামিলনাড়ুর হোসার জেলার এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করল মৃতার পরিবার।
নেশা করে যৌনতায় মেতেছিলেন এক মাঝবয়সি দম্পতি। সাতবছর পুরনো বিবাহিত জীবনে নতুন 'অ্যাডভেঞ্চারে'র খোঁজ করছিলেন তাঁরা। সেই অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে পেয়েছিলেন বিছানায়, স্ত্রীর শরীরের মাদকতায়, বিডিএসএমের মধ্যে। শরীরী খেলার মাঝেই স্ত্রীর আবেদনময়ী কণ্ঠে যন্ত্রণাকিষ্ট চিৎকার শুনতে চেয়েছিলেন স্বামী। তাই বেছে নিয়েছিলেন বিকৃত যৌন ফ্যান্টাসি- বিডিএসএম।
গত ৩০ এপ্রিল দুজনেই আকণ্ঠ মদ্যপানের পর ভরপুর যৌনতার মেতে ওঠেন। আর পাঁচদিনের স্বাভাবিক ছিল না সেই যৌনাচার। খাটের চারদিকে স্ত্রী হাত-পা বেঁধে দিয়েছিলেন স্বামী। তারপর চলছিল কাছে আসার খেলা। উদ্দাম মুহূর্তে স্ত্রীকে আরও কষ্ট দেওয়ার জন্য কাপড়ে দিয়ে স্ত্রীর গলা চেপে ধরেন স্বামী। আর সেই উন্মাদনাই কাল হল! সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর নাক দিয়ে রক্তপাত হতে থাকে। তাঁকে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে ছুটে যান স্বামী। নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসকরা। এরপরই মেয়েটির পরিবার থেকে স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
হোসারের বাসিন্দা ৩৪ বছরের ভাস্কর আদপে জিম ট্রেনার। তাঁর চারটি জিম আছে। স্ত্রী শশীকলাও মহিলা জিম চালান। প্রেম করে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। দুই সন্তানও আছে। অভিযোগ, হাত-পা বেঁধে বিকৃত যৌনতার সময় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, ভাস্কর তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে। বিয়ের সময় ১৪ লক্ষ টাকা পণ নিয়েছিল সে। তারপরও টাকার জন্য স্ত্রীকে লাগাতার চাপ দিতেন। শশীকলার সন্দেহ ছিল, একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন ভাস্কর। এনিয়ে দুজনের মধ্যে একাধিকবার অশান্তিও হয়েছে। ভাস্করের মারধরের চোটে দুবার হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছিল শশীকলাকে। এবারও স্বামীর অত্যাচারেই স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ভাস্করের দাবি, বিডিএসএমের সময় গলায় চাপ দিতেই শশীকলার নাক থেকে রক্ত বেরতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর।
