সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবী দুর্গার ১০৮টি রূপের একটি বিপত্তারিণী। মা দুর্গা কখনও আমাদের কাছে জগদ্ধাত্রী। কখনও মা কালী। তিনিই আবার দেবী বিপত্তারিণী।
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবী বিপত্তারিণী আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। হিন্দুশাস্ত্রে প্রতিটি দেব-দেবীর সৃষ্টির ইতিহাস রয়েছে। কীভাবে আর্বিভাব দেবী বিপত্তারিণীর? পৌরাণিক মত অনুসারে, মহাদেব মা পার্বতীকে কালী বলে রাগান্বিত করে তোলেন! সেই সময় দেবী মহামায়া নিজের রূপ বদল করেন! তাঁর শরীর থেকেই সৃষ্টি হয় দেবী বিপদত্তারিণীর! দেবীর এই রূপ ভয়ংকর নয়। তিনি চর্তুভুজা। ভক্তদের রক্ষা করেন। বিনাশ তাঁর কাজ নয়। মর্ত্যলোকে দেবী পূজিত হন, আষাঢ় মাসে। রথযাত্রা ও উলটোরথের মাঝের শনি ও মঙ্গলবার ব্রত পালনের তিথি। আজ শনিবার প্রথম বিপদত্তারিণীর পুজো। আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় পুজো।
কোন তিথিতে পালন করা হবে দ্বিতীয় বিপদত্তারিণী ব্রত?
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে, আগামী ১ জুলাই, মঙ্গলবার (বাংলার ১৬ আষাঢ়) আষাঢ় শুক্লপক্ষে দ্বিতীয় পুজোর তিথি। ষষ্ঠী থাকবে সকাল ১০টা ২১ মিনিট। তারপর সপ্তমীর শুরু।গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে, ১ জুলাই, মঙ্গলবার (১৬ আষাঢ়)। ষষ্ঠী থাকবে ১২টা ২৭ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত, পরে শুরু হবে সপ্তমী।
বিপদত্তারিণী দেবীর পুজো সকাল থেকেই শুরু হয়। তা কার্যত সারাদিনই চলে। বাড়ির মহিলারা (সদবারা) সন্তান, সংসারের মঙ্গলকামনায় ব্রত পালন করেন। সারাদিন ব্রত পালনের পর, ১৩টি লুচি, ফল খেয়ে ব্রত পালন করেন তাঁরা।
পুজোয় কী কী উপচার থাকা প্রয়োজন:
ব্রতপালনের সময় উপচার হিসাবে অবশ্যই ১৩টি ফল, ফুল, ১৩টি গিট দেওয়া লাল সুতো এবং দূর্বা থাকা বাধ্যতামূলক। শিষযুক্ত ডাবও থাকা আবশ্যক। অবশ্যই কর্পূর দিয়ে আরাধনা করতে ভুলবেন না। পুজোয় ব্যবহার করা হয় লাল সুতোর। তাতে থাকে ১৩টি গিট। তাতে বাঁধা হয় ১৩টি দুর্বা ঘাসও। অনেকে সারাবছর এই সুতো হাতে বাঁধেন।
