সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোর বিসর্জনের বাদ্যি বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই অপেক্ষা শুরু হয় গৃহস্থের। দুর্গাপুজো মিটে এবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। আশ্বিন মাসের পূর্নিমা তিথিতে এই পুজো হওয়ায় একে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বলা হয়। এবছর লক্ষ্মীপুজো পড়েছে আগামী ৬ অক্টোবর ২০২৫ সোমবার। সমুদ্রমন্থন করে একদা যে দেবীকে ফিরে পেয়েছিলেন দেবতারা, সেই সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির দেবী পূজিতা হবেন ঘরে ঘরে। কিন্তু কেন মা লক্ষ্মী স্বর্গভ্রষ্ট হয়েছিলেন? কেনই বা তাঁকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই পৌরাণিক কাহিনি।
এর পরই শুরু হয় সমুদ্রমন্থন। যাকে ঘিরে দেবতাকুল ও অসুরদের মধ্যে লেগে যায় তুলকালাম কাণ্ড। সমুদ্রমন্থনেই উঠেছিল গরল ও অমৃত। উঠেছিল নানা মণিমানিক্যের সম্ভার। এর মধ্যে অমৃত নিয়ে প্রবল টানাটানির গল্প আমাদের সকলেরই জানা। রাহু ও কেতু দেবতা সেজে অমৃত খেতে গিয়ে কী নাকাল হয়েছিল তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গ্রহণের পৌরাণিক ব্যাখ্যাও। আর এসবের পাশাপাশি এই সমুদ্রমন্থনের সময়ই বিষ্ণু ফিরে পেয়েছিলেন লক্ষ্মীকে।
আবার স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, নারায়ণকে স্বামী হিসেবে পেতে লক্ষ্মী সমুদ্রের গর্ভে প্রবেশ করে বছরের পর বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। আর সেই সময় বহু দেবতাই ছদ্মবেশে লক্ষ্মীর সামনে আসেন। কিন্তু লক্ষ্মী তাঁদের বিশ্বরূপ দেখাতে বলেন। স্বাভাবিক ভাবেই যা কেবল বিষ্ণুই দেখাতে পারেন। ফলে অন্য দেবতারা রণে ভঙ্গ দেন সহজেই। শেষপর্যন্ত দেখা দেন নারায়ণ। তাঁর সঙ্গেই বিয়ে হয় লক্ষ্মীর।
অবশ্য পৌরাণিক উপাখ্যানে যাই থাকুক না কেন, লক্ষ্মীর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি মা দুর্গার সন্তান। যিনি কয়েকদিন আগেই সপরিবারে ঘুরে গিয়েছেন। এবার তাঁর একাই পূজিতা হওয়ার পালা।
