shono
Advertisement
Lalbaba Rice

স্বয়ং দেবীদুর্গা ডাবের জল দিয়ে চাল-ডাল ফুটিয়ে নৈবেদ্য দিয়েছিলেন মহাদেবকে, জানুন সেই কাহিনি

নৈবেদ্য পেয়ে মহাদেবও পরম তৃপ্তিতে আহার করেছিলেন সেই পদ!
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 09:07 PM Sep 15, 2025Updated: 09:07 PM Sep 15, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর ঘুরে আবারও উমা ঘরে ফিরছেন। ভরা সংসার নিয়ে মা মর্ত্যে আসেন। সঙ্গে থাকেন ছেলেমেয়ে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। এই সময় মাতৃশক্তি আরাধনায় মেতে ওঠে আপামর ভক্তের দল। ভক্তেরা দেবীকে নৈবেদ্য হিসেবে নিবেদন করে দশভোগ। আর এই দশভোগেই তুষ্ট হন দুর্গতিনাশিনী।

Advertisement

দশভূজার দশভোগের মধ্যে অন্যতম হল খিচুরি। এমনকী এই খিচুরি ভোগের কথা উঠলে প্রসঙ্গক্রমে এসে পড়ে মনসামঙ্গলের কথা। মধ্যযুগীয় সাহিত্যের এই জনপ্রিয় মঙ্গলকাব্যে উল্লেখ রয়েছে স্বয়ং দেবীদুর্গা ও মহাদেবের যাপনচিত্রের আখ্যান। জানা যায়, দেবী ডাবের জল দিয়ে চাল-ডাল ফুটিয়ে খিচুরি রান্না করে দিয়েছিলেন স্বয়ং মহাদেবকে। নৈবেদ্য পেয়ে মহাদেবও পরম তৃপ্তিতে আহার করেছেন সেই পদ। শুধু তাই নয়, মহাদেবের পছন্দের খাদ্যে রয়েছে পরমান্ন ও পোলাও। একারণে দুর্গাপুজোয় প্রতিদিন দুপুরে দেবীর ভোগে খিচুরি, পোলাও প্রভৃতি নিবেদন করার চল রয়েছে।

কিন্তু যা তা ভাবে এই খিচুরি ভোগ রান্না করা যায় না। ভোগ রান্নার জন্য নিতে হবে অক্ষত ও শুদ্ধ চাল। শাস্ত্র মতে চালের 'অক্ষত' দানাই নৈবেদ্যে মায়ের ভোগ রান্নায় ফল দান করে। আর এদিক থেকে স্বাদ ও সুগন্ধে ব্যতিক্রমী অক্ষত চালের দানা হিসেবে লালাবাবা রাইস অতুলনীয়। এই চাল পুজোর আয়োজনকে স্বাদে ও গুণে আরও উৎসবমুখর করে তোলে। নৈবেদ্য প্রদান সম্পন্ন হলে দেবী তা গ্রহণ করেন। এর পরই তা প্রসাদ হিসেবে সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এবারের পুজোয় মায়ের 'ভোগ প্রসাদ' লালাবাবা রাইসের সঙ্গে জমে উঠুক। উৎসবে ও আনন্দে এবারের পুজো হয়ে উঠুক আরও বেশি আনন্দময়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খিচুরি ভোগের কথা উঠলে প্রসঙ্গক্রমে এসে পড়ে মনসামঙ্গলের কথা।
  • দেবী ডাবের জল দিয়ে চাল-ডাল ফুটিয়ে খিচুরি রান্না করে দিয়েছিলেন স্বয়ং মহাদেবকে।
  • এবারের পুজোয় মায়ের 'ভোগ প্রসাদ' লালাবাবা রাইসের সঙ্গে জমে উঠুক।
Advertisement