সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ভাইফোঁটা', 'ভাইদুজ', 'ভাইটিকা', 'ভাইদুতিয়া'—যে নামেই ডাকি না কেন, পবিত্র ভাই-বোনের পবিত্র বন্ধনের প্রতীক এই সম্পর্ক। গোটা ভারতবর্ষ জুড়েই তা পালিত হয়। এমনকী প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালেও তা পালন করা হয়। কিন্তু কীভাবে শুরু হল এই উৎসবের? রয়েছে একাধিক প্রচলিত গল্প। রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনি। জানেন কি সেসব? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভাতৃদ্বিতীয়া পালিত হয়। এ বছর শুক্লা দ্বিতীয়া তিথি শুরু হচ্ছে ২২ অক্টোবর, রাত্রি ৮টা ১৬ মিনিটে। শেষ হবে পরের দিন ২৩ অক্টোবর রাত ১০টা ৪৬ মিনিট। ভাইফোঁটার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে যম-যমুনার গল্প। রয়েছে লক্ষ্মী-নারায়ণের আখ্যানও।
বিষ্ণু নিজের শিষ্য বালিকে বর দিতে গিয়ে নিজেই তাঁর কাছে একবার বন্দি হয়ে পড়লেন। এদিকে নারায়ণ ছাড়া গোটা ব্রহ্মাণ্ড অচল। দুঃখিনী হয়ে উঠলেন স্বয়ং লক্ষ্মীও। তাই, নারায়ণকে উদ্ধার করতে বালিকে ভাই পাতালেন লক্ষ্মী। তাঁকে ফোঁটা দিলেন কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়াতে। আর উপহার হিসেবে ভাইয়ের কাছে ফেরত চাইলেন স্বামী নারায়ণকে। সেই থেকে পালিত হয়ে আসছে ভাইফোঁটা।
ভাইফোঁটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণ-সুভদ্রার আখ্যানও। শাস্ত্র মতে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে নরকাসুরকে বধ করেছিলেন কৃষ্ণ। এরপর তিনি দ্বারকায় ফিরে এলে তাঁর কপালে বিজয় তিলক এঁকে দিয়ে মিষ্টি খেতে দেন সুভদ্রা। সেই থেকেই ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইফোঁটা উৎসবের সূচনা হয়।
আরেক কাহিনি অনুসারে, সূর্যদেবের রয়েছে এক সন্তান ও এক কন্যা। বিমাতার অত্যাচারে সেই সন্তান যমুনা ও যমের ছেলেবেলায় বিচ্ছেদ ঘটে। বিয়ের পর যমুনা স্বামীর বাড়ি গেলেন। যম হঠাৎই একদিন দিদির বাড়ি চলে আসেন। ভাইকে পেয়ে যমুনাও ভীষণ খুশি। দিদির আতিথেয়তা পেয়ে ভাই ভীষণ খুশি হয়ে বর চাইতে বলল। সেই দিনটিকে যমুনা ভাতৃদ্বিতীয়া হিসেবে পালন করার কথা জানায়। সেদিন থেকেই দিনটি ভাতৃদ্বিতীয়া হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
