সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির দুর্গাপুজোর আমেজ শুরু হয়ে যায় মহালয়ার দিন থেকেই। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাঙালির পুজো ষষ্ঠীতে শুরু হলেও গোটা উত্তরপূর্ব ভারতজুড়ে ৯ দিন ধরে চলে দেবী আরাধনা। ন'দিন ধরেই ব্রত পালন করা হয়। অমাবস্যার তিথি প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত- এই নয় তিথিকে বলা হয় নবরাত্রি। ন'রাত্রি ধরে দেবীদুর্গাকে পুজো করা হয় ৯টি ভিন্ন ভিন্ন রূপে। দুর্গার ন'টি রূপের আরাধনা শেষে উপবাস ভাঙেন ভক্তরা। দেবীর এই ন'টি রূপকেই 'নবদুর্গা' বলে।
নবরাত্রিতে শুধু দেবীদুর্গাকে ভিন্ন রূপে পুজোই নয়, এমনকী মা দুর্গার এই ন'টি রূপের জন্য রয়েছে আলাদা নৈবেদ্য নিবেদনের বিধানও। দেবী শক্তির তৃতীয় রূপ হলেন চন্দ্রঘণ্টা। শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে তিনি পূজিতা হন। যদিও তিনি চন্দ্রখণ্ডা, চন্দ্রিকা ও রণচণ্ডী নামেও খ্যাত। এই দেবীর গ্রহ হল শুক্র। প্রিয় ফুল পদ্ম এবং প্রিয় রং লাল। সাধনায় সাধক ও যোগীদেরকে দেবী দিব্য ও অদৃশ্য শক্তি দান করে থাকেন। দেবীকে খুশি করলে তিনি ভক্তের প্রতি প্রসন্ন হন। তাই, নবরাত্রিতে আপনার ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় দেবীকে দিন তাঁর পছন্দের নৈবেদ্য।
পরমেশ্বর ভোলানাথকে বিবাহ করার পর তিনি তাঁর কপালে অর্ধচন্দ্র শোভা করে থাকেন। এই কারণে তাঁকে চন্দ্রঘণ্টা বলা হয়। এই পুজোয় দেবীকে নৈবেদ্য হিসেবে পরমান্ন বা পায়েস নিবেদন করা হয়। কিন্তু কোন চালে পায়েস রাঁধবেন? পায়েস রান্নার জন্য সবচেয়ে প্রথমে বিশুদ্ধ ও ভালো মানের চাল বাছাই প্রয়োজন। এদিক থেকে লালবাবার গোবিন্দভোগ অতুলনীয়। লালবাবা চাল বিশুদ্ধ ও অখণ্ড। এই চাল দিয়ে পায়েস রান্না করে দেবীকে নৈবেদ্য দিলে বিশুদ্ধতা বজায় থাকে।
শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, ঈশ্বরের সঙ্গে যোগ স্থাপনের অন্যতম উপায় দেবীকে নৈবেদ্য নিবেদন। এর পৃথক তাৎপর্য রয়েছে৷ সঠিক নৈবেদ্য নিবেদনে দেবীর ঐশ্বরিক আশীর্বাদ লাভ হয়৷ আর এই আশীর্বাদ আপনার পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
