সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরীর (Puri)জগন্নাথ মন্দির তো জগৎ বিখ্যাত। তার মহিমা নিয়ে নতুন করে বলার নেই। তবে আজকের বিশেষ দিনে অর্থাৎ রথযাত্রার পবিত্র লগ্নে অবশ্যই জগন্নাথদেবের মন্দিরের (Jagannath Temple) মাহাত্ম্য নব নব রূপে ভাবায় তো বটেই। নতুন করে বোঝা যায়, কেন প্রভু জগন্নাথদেবের চরণে পূজার্ঘ্য অর্পণ করতে এত এত মানুষ সারাবছর ধরে পুরীতে ছুটে যেতে চান। কেন আলাদা আকর্ষণ অনুভব করেন। কিন্তু যাঁরা ভক্তির টান থাকা সত্ত্বেও কোনও না কোনও কারণে জগন্নাথ দর্শনে পুরী যেতে পারেন না, তাঁদের কি জীবনভর আক্ষেপই সঙ্গী? মোটেই তা নয়। এবছরের রথযাত্রা তাঁদের জন্য বয়ে আনছে আনন্দ সংবাদ। এবার কলকাতাতেই (Kolkata) তৈরি হয়েছে জগন্নাথদেবের মন্দির। পুণ্যের নয়া ক্ষেত্র। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা মন্দিরের দ্বার খুলে যাবে সকলের জন্য।
জগন্নাথদেবের প্রকৃত বাসস্থান তো বিশালাকার। তার সীমা-পরিসীমার হিসেব রাখা দায়। ওড়িশায় (Odisha) বঙ্গোপাসাগরের পাশের বেলাভূমি তো কেবলই তাঁর বিচরণক্ষেত্র। স্বাভাবিক কারণেই কলকাতার জগন্নাথ মন্দিরের পরিবেশ এক নয়। শহরের মাঝে প্রভুসেবার নিমিত্তে একচিলতে বাসস্থান তৈরি করা হয়েছে। কলেবরে তা তত বেশি না হতে পারে, কিন্তু নিষ্ঠা আর ভক্তিতে একচুলও কম যায় না, তা হলফ করে বলাই যায়। মন্দিরে পাদদেশ থেকে চূড়া – শিল্পীর হাতের সুন্দর নকশায় ফুটে উঠেছে এই মন্দির তৈরির নেপথ্যে পরিশ্রমের চিহ্ন। ভিতরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন জগন্নাথদেব।
[আরও পড়ুন: কীভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে খোলা হল আংটি? রিপোর্ট পেশ আদালতে, জেলের সমস্যা জানালেন অর্পিতা]
তাঁর রূপও অপরূপ। স্বর্ণাভ শরীর স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত। আজ, মঙ্গলবার, রথযাত্রার পুণ্য তিথিতে উত্তর কলকাতার দেশবন্ধু পার্কে সেই মন্দিরের দুয়ার খুলে যাবে সর্বসাধারণের জন্য। ঠিক সন্ধে ৬টা উদ্বোধন হবে বিশিষ্ট মডেল-অভিনেত্রী তথা মানিকতলার প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডের হাত ধরে। বুধবার থেকে জগন্নাথ দর্শন করতে পারবেন জনসাধারণ। ওহ, ঠিকানাটাই তো বলা হল না। ১, দীনেন্দ্রনাথ স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০৪। পুরী না হোক, ছুটে এবার এখানে তো চলে আসতেই পারেন জগন্নাথ দর্শনে।