সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, যে ভগবান, যে ফুলে সন্তুষ্ট। নিত্যদিন পুজো করার সময় সে কথা মনে রাখেন? অনেকেরই উত্তর হবে 'না'। কারণ, বাজার থেকে কেনার সময় কী ফুল যে দিচ্ছেন বিক্রেতা, তা খেয়াল করেন না অনেকেই। যা পারেন নিয়ে আসেন এবং ভগবানকে তা অর্পণ করেন। যদিও অনেকেই বলেন, তাতে আখেরে লাভ কিছুই নেই। বরং সংসারে সমৃদ্ধি ও শ্রীবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন দেবতা, কোন ফুলে সন্তুষ্ট তা খেয়াল রেখে নিবেদন করাই প্রয়োজন।
শিবঠাকুর
ঠাকুরঘরে একটি শিবলিঙ্গ কিংবা শিবের ছবি থাকেই। দেবাদিদেবের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন ধুতুরা ফুল এবং বেল পাতা। তাই শিবঠাকুরকে সন্তুষ্ট রাখতে ধুতুরা ফুল অর্পণ করাই শ্রেয়। তবে অপরাজিতা ফুলও দিতে পারেন।
কালীঠাকুর
শক্তির প্রতীক কালীঠাকুর। তাঁর পূজার্চনায় লাল জবার কোনও বিকল্প নেই। তাই কালীঠাকুরকে তুষ্ট করতে অবশ্যই তাঁর পায়ে লাল জবা অর্পণ করুন। সাদা ফুল তাঁকে ভুলেও দেবেন না।
গণেশ পুজো
সংসারে শ্রী ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং জীবনের বাধাবিঘ্ন কাটিয়ে এগিয়ে চলার জন্য গণেশ পুজো করেন অনেকে। অবশ্যই গণেশ ঠাকুরকে হলুদ গাঁদাফুল অর্পণ করুন। উজ্জ্বল এই ফুলটি দেবতার পায়ে অর্পণ করার সময় মনে মনে বলুন 'ওম গণ গণপতয়ে নমঃ'। তাতে আপনার উন্নতি কেউ রুখতে পারবেন না।
ভগবান বিষ্ণু
দিওয়ালির সময় বহু হিন্দু বাড়িতে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করেন। শান্তির প্রতীক বিষ্ণু পদ্মফুল পছন্দ করেন। তাই ফুল কেনার সময় বাজার থেকে গোলাপি পদ্ম কিনতে ভুলবেন না।
হনুমান পুজো
সাহস, শক্তি, একাগ্রতা বৃদ্ধিতে অনেকে হনুমান পুজো করেন। কমলা সিঁদুর এবং জুঁই ফুল হনুমানজির প্রিয়। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করতে অবশ্যই জুঁই ফুলের মতো সাদা সুগন্ধী ফুল অর্পণ করুন।
অবশ্যই এই নিয়মগুলি মেনে পুজো করুন। তাতেই সংসারে শ্রীবৃদ্ধি হবে। সাফল্য আসবে হাতের মুঠোয়।
