সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশ্বিনের শুরু মানেই আকাশে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ। বারবারই মনে হয় এই তো মা আসছেন। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। বাঙালির কাছে যিনি ‘মা দুর্গা’ নামে পূজিত হন, সারা ভারতে নানা নামে তাঁর আরাধনা চলে। কোথাও তিনি ‘কন্যাকুমারী’ নামে পূজিত হন তো কোথাও ‘অম্বিকা’, কোথাও ‘জয়দুর্গা’ তো কোথাও ‘হিংলাজ’। তবে, সকলের আরাধ্য ‘মহামায়া’ সম্পর্কে এমনও কিছু তথ্য রয়েছে যা অনেকেই অজানা৷ বিশেষ করে মায়ের হাতের অস্ত্র সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারনা নেই৷
[দুই পঞ্জিকার নির্ঘণ্টে ১ ঘণ্টার তফাতে মহালয়ার তর্পণ!]
ত্রিশূল: মহামায়ার হাতে ত্রিশূল তুলে দিয়েছিলেন মহাদেব৷ শোনা যায়, ত্রিশূলের তিনটি ফলার আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। মানুষ তিনটি গুণ, তমঃ, রজঃ ও সত্যকে ব্যাখ্যা করে এই তিন ফলা৷
গদা: যমরাজ দিয়েছিলেন দিলেন কালদণ্ড বা গদা৷ যা আনুগত্য, ভালবাসা এবং ভক্তির প্রতীক।
বজ্রাস্ত্র: দেবরাজ ইন্দ্র দিয়েছিলেন বজ্রাস্ত্র৷ মায়ের হাতের এই অস্ত্র দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক।
সাপ: শেষ নাগ দিয়েছিলেন নাগহার৷ বিশুদ্ধ চেতনার প্রতীক হল এই সাপ।
অগ্নি: অগ্নিদেব দিয়েছিলেন এই অস্ত্র৷ জ্ঞান এবং বিদ্যার প্রতীক এই অগ্নি।
শঙ্খ: বরুণ দিয়েছিলেন শঙ্খ৷ যা জীব জগতে প্রাণের সৃষ্টি করে।
চক্র: মায়ের হাতে চক্র তুলে দিয়েছিলেন বিষ্ণু৷ যার অর্থ হল সমস্ত সৃষ্টি ও জগতের কেন্দ্রে অধিষ্ঠান রয়েছেন দেবী দুর্গা।
[সিংহ নয়, পুরাণ মতে মা দুর্গার বাহন এরাই]
তির-ধনুক: বায়ু দিয়েছিলেন ধনুক ও তির৷ উভয়ই ইতিবাচক শক্তির প্রতিক৷
পদ্ম: দেবীর হাতে ব্রহ্মা তুলে দেন পদ্ম৷ পাঁকে জন্মায় পদ্ম। কিন্তু তবু সে কত সুন্দর। তেমনই মায়ের আশীর্বাদে যেন অন্ধকারের মধ্যেও আলোর আবির্ভাব হয় সেই বার্তাই দেয় পদ্ম ফুল।
তলোয়ার: তলোয়ার হল মানুষের বুদ্ধির প্রতীক৷ যার জোরে সমস্ত বৈষম্য এবং অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে মানুষ৷
The post মা দুর্গার হাতে থাকা দশ অস্ত্রের কী অর্থ জানেন? appeared first on Sangbad Pratidin.