shono
Advertisement
Hooghly

বৈশাখে উৎসবের আমেজ, ১৩৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোর প্রস্তুতি কোন্নগরে

এই মুহূর্তে জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
Published By: Subhodeep MullickPosted: 06:40 PM Apr 21, 2025Updated: 07:56 PM Apr 21, 2025

সুমন করাতি, হুগলি: উৎসবের মেজাজে হুগলির কোন্নগর। ১৩৬ বছরের পুরনো শকুন্তলা কালীপুজোকে ঘিরে শহরজুড়ে সাজসাজ রব। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শনিবার এই পুজোর আয়োজন করা হয়। এই বছর ২৬শে এপ্রিল, বাংলার ১২ বৈশাখ ফের হতে চলেছে এই পুজো।

Advertisement

এই মুহূর্তে জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দীর্ঘ চার প্রজন্ম ধরে মায়ের মূর্তি তৈরি করে আসছেন কোন্নগর বারো মন্দির সংলগ্ন এলাকার মৃৎশিল্পী বাদলচন্দ্র পাল। এ বছরও তাঁর কাঁধেই রয়েছে সেই দায়িত্ব। যদিও শুধুমাত্র শকুন্তলা মায়ের নয়, একইসঙ্গে পুজো হয় অন্যান্য দেবীরও। সেগুলি কালীরই বিভিন্ন রূপ।

এ প্রসঙ্গে বাদলচন্দ্র জানান, প্রথমে তাঁর ঠাকুরদা প্রতিমা গড়তেন। পরবর্তীতে তাঁর বাবা-কাকা। আর এখন মূর্তি তৈরির দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তাঁর কথায়, “আগে এক রাতেই তৈরি হত মূর্তি। পুজোর পরদিন হত ভাসান। কিন্তু এখন পুজোর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র শকুন্তলা নয়, আরও অনেক পুজো হয় এই দিনে। তাই এখন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় ঠাকুর তৈরির কাজ।”

কথিত ইতিহাস থেকে জানা যায়, একসময় এলাকায় কলেরার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। মহামারীতে প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের। সেই সময়ে স্বপ্নাদেশে দেবী নাকি নিজেই দেখা দেন। তারপর থেকেই শুরু হয় এই পুজো। কিন্তু কেন নাম শকুন্তলা? জানা যায়, স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী, শকুনের বাসার নীচে হোগলা-তাল পাতার মণ্ডপ সাজিয়ে শুরু হয় দেবীর আরাধনা। তাই সেখান থেকেই নাম শকুন্তলা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • উৎসবের মেজাজে হুগলির কোন্নগর।
  • ১৩৬ বছরের পুরনো শকুন্তলা কালীপুজোকে ঘিরে শহরজুড়ে সাজো সাজো রব।
  • বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শনিবার এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
Advertisement