সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গা হলেন আদ্যাশক্তি। তিনি পরমাপ্রকৃতি। দুর্গতি নাশ করে সকলকে রক্ষা করেন তিনি। একদিকে কাশফুলের ঢেউ, অন্যদিকে পেঁজা তুলোর মেঘ। এরই মাঝে আগমণ ঘটে দেবীর। কয়েকদিনের জন্য মা আবির্ভূতা হন মর্ত্যে। আর এসময় আপামর বাঙালি মেতে ওঠে দেবী আরাধনায়।
দুর্গাপূজার এই শুভক্ষণে দেবী আরাধনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল 'আমান্ন' বা কাঁচা চালের নৈবেদ্য। সনাতন হিন্দু ধর্মে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রথা। চাল, ফল এবং মিষ্টির নৈবেদ্য সাজিয়ে দেবীকে অর্পণ করা হলে তবেই পূজা সম্পূর্ণ হয়। নৈবেদ্য নিবেদন হল পুজোর অন্তিম ধাপ। তবে, জানেন কি পূজার নৈবেদ্যতে চাল কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, কলা পাতায় অন্ন অর্পণ করলে দেবী দুর্গা প্রসন্ন হন। এতে ভক্তের জীবন থেকে সকল বাধা-বিপত্তি দূর হয়। এবং পরিবারে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। তাই দেবীর পূজায় চালের নৈবেদ্য বা ভোগ হিসেবে অন্ন নিবেদন বাধ্যতামূলক।
আর মহামায়া শক্তিকে নৈবেদ্য অর্পণের জন্য সবচেয়ে ভালো চাল বেছে নেওয়াই প্রথা। তাই দেবীর জন্য নৈবেদ্যর চাল নির্বাচন করার সময় তার গুণগত মান, স্বাদ এবং সুগন্ধের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই পুজোর মরশুমে দেবীর জন্য নৈবেদ্য হিসেবে বেছে নিতে পারেন লালবাবা রাইস। শাস্ত্র মতে চালের 'অক্ষত' দানাই নৈবেদ্যে গৃহীত হয়। আর তাই স্বাদ ও সুগন্ধে ব্যতিক্রমী অক্ষত চালের দানা হিসেবে ভোগ রান্নার জন্য অবশ্যই বেছে নিন লালাবাবা রাইস। এই চাল দেবীর ভোগ রান্নার আয়োজনকে স্বাদে গুণে আরও ভরিয়ে তুলবে। শুধু কাঁচা চালের নৈবেদ্য নয়, ভোগের অন্ন রাঁধতেও লালবাবা অপরিহার্য। তাই এবারের পুজোয় সঙ্গে থাকুক লালবাবা রাইস। উৎসবে ও আনন্দে সকলের পুজো হয়ে উঠুক আরও বেশি আনন্দময়।
