সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই রথযাত্রা। কথিত আছে, স্নানযাত্রার পনেরো দিন পর রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা৷ তাই রথযাত্রার আনন্দে মাতোয়ারা বাংলা-সহ গোটা দেশ। এবারের বিশেষ আকর্ষণ দিঘার রথযাত্রা। রথের রশিতে টান তো দেবেন, কিন্তু জানেন কি এদিন কিছু নিয়ম মানলেই ঘুরতে পারে আপনার ভাগ্যের চাকা। জেনে নিন কী সেই নিয়ম।
* রথযাত্রার পুণ্যতিথিতে আপনার সংসারের শ্রীবৃদ্ধি চাইলে ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠুন। সকাল সকাল সেরে নিন গঙ্গাস্নান। এরপর পারলে একটি নতুন পোশাক পরুন৷ তবে তা না থাকলে কোনও সমস্যা নেই। যেকোন শুদ্ধ বস্ত্র পরলেও চলবে।
* গঙ্গাস্নান সেরে ফেরার পথে এলাকার শিব বা বিষ্ণু মন্দিরে যান। পরপর তিনটি মন্দিরে ঢুকে ফল দান করুন। এবার ওই তিনটি ফলের একটি অন্তত বাড়িতে নিয়ে আসুন। রথযাত্রা তিথির একেবারে শেষের দিকে ওই ফল কেটে পরিবারের সকলকে দিন। নিজেও খান।
* এবার আসুন পুজোর ঘরে৷ আপনার ঠাকুর ঘরে নিশ্চয়ই জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি রয়েছে? উত্তর 'হ্যাঁ' হলে এবার মন দিন পুজোর কাজে। তিন দেবদেবীর মূর্তিতে ভক্তি ভরে তুলসি এবং গোলাপ ফুল অর্পণ করুন। পারলে নিজে হাতে গোলাপ ফুলের মালা গেঁথে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার গলায় পরান। তিন দেবদেবীকে প্রসাদ হিসাবে গোটা ফল খেতে দিন।
* রথের দিন দানধ্যান করতে কিন্তু ভুলবেন না। এদিন এলাকার গরিব মানুষ কিংবা শিশুদের হাতে সাধ্যমতো খাবারদাবার তুলে দিন।
* নিশ্চয়ই জানেন, নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী এদিন রাস্তায় রথ বেরোয়। টানতে না পারলে ক্ষতি নেই। অন্তত একবার সুযোগ বুঝে রথের রশি স্পর্শ করুন। একটি গোটা ফল রথে দিন৷ দেখবেন, আপনার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে বাধ্য।
