সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে গোনা আর কিছুদিন। তারপর মর্ত্যে আগমন দেবীর। চারদিনের জন্য ছেলেমেয়ে সমেত বাপের বাড়ি আবির্ভাব ঘটবে উমার। এই সময় মাতৃশক্তি আরাধনায় মেতে ওঠে ভক্তের দল। দুর্গাপুজোর অন্যতম প্রধান উপাচারই হল নৈবেদ্য এবং ভোগ। দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা নৈবেদ্য দেবী গ্রহণ করলে তবেই তা প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়। মায়ের পুজোয় প্রতিদিনই নৈবেদ্য দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
দেবী বোধনে শিব, দুর্গা, নারায়ণ ও গৃহদেবতাদের আলাদা আলাদা নৈবেদ্য দিতে হয়। পিতলের থালায় চূড়া করে সাজানো হয় চাল। সঙ্গে থাকে ফল-মিষ্টি, দই ও আরও অন্যান্য উপাদান। এমনকী ষষ্ঠীর পুজোর দিনে অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিস, যেমন 'শ্রী' তৈরিতেও কাজে লাগে আতপ চাল। বরণডালাতেও চালের পিটুলি অপরিহার্য। প্রকৃত দুর্গাপুজো শুরু হয় সপ্তমী থেকে। নবপত্রিকা স্নানের পরেই নৈবেদ্য উপাচার সাজিয়ে আরম্ভ হয় পুজো।
সপ্তমী থেকে মহানবমী প্রতিদিনই দুর্গা পরিবারের সকল সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা থালায় নৈবেদ্য সাজিয়ে নিবেদন করতে হয়। বড় থালায় পাঁচ রেক পরিমাণ চাল চুড়ো করে সাজানো হয়। চুড়োর উপরে থাকে মণ্ডা বা সন্দেশ। সঙ্গে পাশাপাশি রাখা হয় কলা। বড় থালার বেড় বরাবর ছোট ছোট খুরিতে করে ফল, মিষ্টি, পাঁচকলাই ইত্যাদি সাজিয়ে দেওয়া হয়। এটিই দেবীর নৈবেদ্য। দেবী ছাড়াও তাঁর সন্তান, বাহন এবং আরও দু'টো নৈবেদ্য আলাদা করে তৈরি করতে হয়। একটি নবগ্রহ এবং অন্যটি গৃহদেবতাদের জন্য। এমনকী মহিষাসুর ও সিংহের জন্যেও আলাদা নৈবেদ্যর ব্যবস্থা থাকে।
দুর্গাপুজোয় প্রতিটি নৈবেদ্যেই 'চাল' অপরিহার্য একটি উপাদান। এমনকী দেবীর ভোগ নিবেদনেও 'চাল' দিয়ে অন্নভোগ রান্না করা হয়। তবে, যেকোনও ধরনের চাল দিয়ে এই নৈবেদ্য তৈরি করা যায় না। এক্ষেত্রে চালের বিশুদ্ধতা, স্বাদ এবং সুগন্ধের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই পুজোর মরশুমে দেবীর জন্য নৈবেদ্য হিসেবে বেছে নিন লালবাবা রাইস। শাস্ত্র মতে চালের 'অক্ষত' দানাই নৈবেদ্যে গৃহীত হয়। উৎসবে ও আনন্দে লালবাবার সঙ্গে পুজো হয়ে উঠুক আরও বেশি আনন্দময়।
