সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) কাবুল (Kabul) দখলের পরে জানিয়েছিল এটা তালিবান ২.০। এবার নতুন এক যুগের সূচনা হতে চলেছে আফগানভূমে (Afghanistan)। যদিও প্রথম থেকেই তাদের দেখানো স্বপ্নে কোনও ভাবেই প্রভাবিত হয়নি বহির্বিশ্ব। খুব একটা আশা ছিল না আফগানদেরও। এবং তাদের প্রত্যাশামতোই যত সময় গিয়েছে, ততই কোণঠাসা হয়েছে সাধারণ মানুষ। এরই পাশাপাশি আগের ঘানি সরকারের সেনার সঙ্গে নির্মম আচরণ করতে দেখা গিয়েছিল তাদের। এবার জানা গেল, পূর্ববর্তী সরকারের পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সঙ্গেও একই ভাবে ভয়ংকর আচরণ করেছে জেহাদিরা। আগস্টে ক্ষমতা দখলের পরে আফগানিস্তানের ৩৪ প্রদেশের মাত্র ৪টি প্রদেশেই শতাধিক প্রাক্তন পুলিশ ও গোয়েন্দা অফিসারকে গায়েব করে দিয়েছে তালিবান। সম্প্রতি এই রিপোর্ট পেশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’।
কী জানা যাচ্ছে ওই রিপোর্ট থেকে? আশরফ ঘানির সরকারের পতনের পরে তাদের রেখে যাওয়া নথি দেখেই ওই ব্যক্তিদের ‘টার্গেট’ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আগামী দিনেও নতুন নতুন টার্গেটের তালিকা তৈরি করছে জেহাদিরা। আফঘানিস্তানে নেমে আসা অন্ধকার যুগে কীভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তালিবানরা তা ফের পরিষ্কার হয়ে গেল। আর এই কাজে রীতিমতো ফাঁদ পাতছে জেহাদিরা।
[‘আরও পড়ুন: ‘আশীর্বাদ’ হয়ে দাঁড়াতে পারে ওমিক্রন! কেন এমন দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা?]
যে সব আফগান জাতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তালিবানের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চাইছে, তাদের বলা হচ্ছে নিজেদের নাম সেনাবাহিনী, পুলিশ বা বিশেষ বাহিনীতে লেখাতে। আর সেখান থেকেই ওই ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের আটক করছে জেহাদিরা। অনেককেই হত্যা করছে তারা। এছাড়া অনেকের কোনও হালহদিশই মিলছে না।
উল্লেখ্য, গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তারপর থেকেই সেদেশ নিয়ে সারা বিশ্বের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে দ্রুত ফুরিয়ে যেতে বসেছে খাদ্য ও অন্যান্য জীবনদায়ী রসদ। বিধ্বস্ত সেদেশের অর্থনীতি। সেই সঙ্গে চলছে তালিবানি জুলুমও। বিশেষ করে বিপন্ন নারীরা। এই পরিস্থিতিতে ফের পুলিশ, গোয়েন্দাদের সঙ্গে তাদের আচরণের বিবরণ থেকে পরিষ্কার, নতুন করে সেদেশে ফিরে এসেছে আগের বারের মতোই ঘোর অন্ধকার তালিবানি যুগ। যেখানে সাধারণ আফগানরা কেউই আর নিরাপদ নন।