স্টাফ রিপোর্টার: যক্ষ্মা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পোর্টালে তুলতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর সেই তথ্য জানিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পোর্টালে। বৃহস্পতিবার সব সরকারি হাসপাতালকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি ন্যাশনাল হেলথ মিশন প্রকল্পের আওতায় যাবতীয় কর্মসূচি ও বিভিন্ন রোগী রোগের বিবরণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা-সমস্ত তথ্য এনএইচএম পোর্টালে তুলতে হবে। উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যাতে জানতে পারে কোন রাজ্যে কোন রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
দিনকয়েক আগে এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যাল কলেজগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এরপরেই এমন সিদ্ধান্ত।
প্রাথমিক থেকে জেলা ও সরকারি হাসপাতালের আউটডোর অথবা ভরতি থাকা যে কোনও রোগীর যাবতীয় প্রেসক্রিপশন, পরীক্ষার রির্পোট, এমনকী কতদিন রোগী হাসপাতালে ভরতি ছিলেন, কম্পিউটারের একটা ক্লিকেই জানা যাবে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। অর্থাৎ চালু হচ্ছে ই-প্রেসক্রিপশন।
হাসপাতালে ভরতি বা আউটডোরে দেখাতে আসা রোগীর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর পোর্টালে নথিভুক্ত হবে। ভবিষ্যতে অন্য কোনও হাসপাতালে সেই রোগী দেখাতে গেলে মোবাইলে থাকা ই-প্রেসক্রিপশনের নম্বর দেখালেই সমস্ত তথ্য কম্পিউটারে ভেসে উঠবে। চিকিৎসক পুরনো প্রেসক্রিপশন দেখে চিকিৎসা করতে পারবেন। ফলে হাতে লেখা প্রেসক্রিপশন নষ্ট অথবা হারিয়ে যাওয়ার ভয় আর থাকবে না রোগীর।
[আরও পড়ুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করার কথা বলে সন্ত্রাসবাদকেই সমর্থন করছে কংগ্রেস! বিস্ফোরক মোদি]
স্বাস্থ্য দপ্তরের ইন্টিগ্রেটেড হেলথ মনিটরিং সিস্টেমের কেন্দ্রীয় সার্ভারে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা করানো সব রোগীর সমস্ত তথ্য মজুত থাকবে। ইতিমধ্যেই সার্ভার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ফলে সব সরকারি হাসপাতালে চালু হতে চলেছে কম্পিউটার জেনারেটেড ই-প্রেসক্রিপশন (E-Prescription)। যদিও প্রশ্ন উঠেছে সরকারি হাসপাতালে বিপুল ভিড়ের মধ্যে রোগীর রাশ সামলে চিকিৎসকের পক্ষে আদৌ কম্পিউটার থেকে তথ্য আপলোড করে ই-প্রেসক্রিপশন দেওয়া কতটা সম্ভব? তবে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি সরকারি হাসপাতালে ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই নিমেষের মধ্যে যাতে ই-প্রেসক্রিপশন পাওয়া যায় তার জন্য বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও সমস্যা হবে না।
ইতিমধ্যেই ই-প্রেসক্রিপশন দেওয়া হচ্ছে মাল, বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল, হাওড়ার কয়েকটি গ্রামীণ হাসপাতাল ও পিজি ও মেডিক্যাল কলেজের গ্যাস্ট্রো-এন্টেরোলজি বিভাগে। আপাতত ৯১৫টি গ্রামাীণ হাসপাতালের মধ্যে ২০১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং সব মহকুমা, স্টেট জেনারেল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ৫০ শতাংশ বিভাগ চিহ্নিত হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজগুলির অন্তত দু’টি বিভাগে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করতে হবে। ১২ মে-র মধ্যে সব মেডিক্যাল কলেজকে জানাতে হবে কতটা প্রস্তুতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্যসচিব যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন, তা পাঠানো হয়েছে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। বলা হয়েছে এই বিষয়টি দেখভালের জন্য একজন করে নোডাল অফিসার থাকবেন। হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে টিবি সংক্রমণ কমাতে রোগীর পরিবারের সদস্যদেরও অন্তত ছ’মাস ওষুধ খেতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। কারণ, অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগ থেকে পরিবারের সদস্যরা নিরাপদে থাকেন।