সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা ভাল যাচ্ছে না রিপাবলিক টিভির (Republic TV)। দিন কয়েক আগেই আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চ্যানেলের মুখ্য সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীকে (Arnab Goswami)। এবার গ্রেপ্তার হলেন রিপাবলিক নেটওয়ার্কের মালিক এআরজি আউটলায়ার মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও বিকাশ খানচন্দানি। রিপাবলিক টিভির চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার শিবাসুব্রহ্মণ্যম সুন্দরমকেও গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। এই মামলায় এর আগেও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রিপাবলিক টিভি।
প্রসঙ্গত, অক্টোবরে রিপাবলিক নেটওয়ার্ক-সহ তিনটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে চ্যানেলের টিআরপি (TRP) হেরফের করার অভিযোগ উঠেছিল। খোদ মুম্বই পুলিশের কমিশনার পরমবীর সিং (Param Bir Singh) সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, সর্বভারতীয় ইংরেজি এই সংবাদমাধ্যমটি টাকার বিনিময়ে টিআরপি কিনেছে। মুম্বই পুলিশের কমিশনার দাবি করেছিলেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর প্রচুর মিথ্যে খবর ছড়িয়েছে। সেই মিথ্যে খবর ছড়ানোর তদন্ত করতে গিয়েই উঠে এসেছে এই টিআরপি বাড়িয়ে দেখানোর বিষয়টি। বিজ্ঞাপন বাবদ বেশি অর্থ পেতে টাকা দিয়ে রেটিং বাড়িয়ে দেখানোর এই চেষ্টাকে তিনি ‘জোচ্চুরি’র সঙ্গে তুলনা করেন।
[আরও পড়ুন: কাফিল খানের মুক্তির রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল যোগী সরকার]
সেই অক্টোবর থেকেই এই মামলার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। এর আগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের দাবি, রিপাবলিক-সহ দুটি স্থানীয় চ্যানেলের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ তাদের কাছে আছে। এই টিআরপি কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ করেছে রেটিং সংস্থা BARC-ও। পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। রিপাবলিক টিভি অবশ্য শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এর আগে মুম্বই পুলিশের হাত থেকে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তারা। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়।
আসলে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই রিপাবলিক টিভি এবং মুম্বই পুলিশের মধ্যে রীতিমতো তিক্ততা চলছে। রিপাবলিক টিভির বিরুদ্ধে যেমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুম্বই পুলিশকে বদনাম করার অভিযোগ উঠেছে, তেমনি মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ। রিপাবলিক টিভির দাবি, টিআরপি মামলাটি পুরোটাই ভুয়ো। সবটাই তাদের চাপে ফেলার কৌশল।