সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক-দুই নয়, একেবারে ৭৩ রকমের নোভেল করোনার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ওড়িশায়! দুই ইনস্টিটিউটের এক গবেষকদের দলই এমনটা দাবি করেছে। যা শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত রাজ্যবাসী।
রাজধানী দিল্লির সিএসআইআর- ইনস্টিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইনটিগ্রেটিভ বায়োলজি (IGIB) এবং ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড SUM হসপিটালের কয়েকজন গবেষক নোভেল কোভিড-১৯ (COVID-19) নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা চালাচ্ছিলেন। তাঁদেরই দাবি, ওড়িশায় ৭৩ প্রকারের করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) হদিশ মিলেছে। গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ডক্টর জয়শংকর দাস বলছেন, “পরপর ১৫৩৬টি স্যাম্পেল নিয়ে আমরা কাজ করেছি। যার মধ্যে ছিল ৭৫২টা ক্লিনিক্যাল স্যাম্পেলও। এর থেকে মিলেছে B.1.112 এবং B.1.99। অর্থাৎ রিপোর্ট একেবারে ভিন্ন। প্রথমবার ভারতে এমন ঘটনা ঘটল।”
[আরও পড়ুন: রুশ টিকায় বেনিয়ম, পুতিনের অস্বস্তি বাড়িয়ে ইস্তফা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের চিকিৎসকের]
একেই মারণ ভাইরাসের প্রকোপে রাতের ঘুম উড়েছে দেশবাসীর। বিজ্ঞানীর একাংশ আগেই জানিয়েছিল, জিন বদলে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে করোনা। সেই কারণেই এর দাপট সুদূর প্রসারী। আর এবার এই গবেষকরা চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর করে দিলেন। তবে তাঁদের মতে, কে কোন প্রকারের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, তা জানতে পারলে, চিকিৎসা করতে সুবিধা হবে। বিশ্বের ১০টি দেশের ১২টি সংস্থাকে পিছনে ফেলে ইতিমধ্যেই নিজেদের গবেষণার সমস্ত তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করেছে এই দলটি। জানানো হয়েছে, অত্যাধুনিক কোভিড-১৯ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই গবেষণায় মিলেছে সাফল্য। কোন করোনা ভাইরাস শরীরে কতটা সংক্রমিত হতে পারে, তাও বোঝা সম্ভব হয়েছে। কারও সামান্য, আবার কারও শরীরে অতিরিক্ত সংক্রমণ ঘটে। লক্ষণও প্রকট হয়। এই সংক্রমণের ধরনই বোঝা গিয়েছে গবেষণায়।
পূর্ব-ভারতে যে ভাইরাসের পরিবর্তন ঘটছে, বিশেষ করে ওড়িশায়, তাও এই গবেষণা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে। এবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করে রোগী চিহ্নিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় কি না, সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন: ২০১৫ সালেই নাগা সার্বভৌমত্বে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র, বিস্ফোরক দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার]
The post ওড়িশায় হদিশ মিলল ৭৩টি ভিন্ন প্রকার করোনা ভাইরাসের, গবেষকদের দাবিতে চাঞ্চল্য appeared first on Sangbad Pratidin.