অর্ণব আইচ: হাউস স্টাফ করার নাম করে একাধিক জুনিয়র ডাক্তারের কাছ থেকে বিপুল টাকা ঘুষ নিতেন সন্দীপ ঘোষ 'ঘনিষ্ঠ' আশিস পাণ্ডে! তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মূলত ইউপিআইয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেন তিনি। তাই আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দিকে নজর সিবিআইয়ের। ঘুষের টাকার বখরা আর কেউ পেতেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অপসারণের দাবি ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে আসে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসে। বর্তমানে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডেরও তদন্ত করছে সিবিআই। সন্দীপের গ্রেপ্তারির পর 'থ্রেট কালচারে'র অভিযোগে হাউস স্টাফ আশিস পাণ্ডের নাম সামনে আসে। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন আশিস। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ 'ঘনিষ্ঠ' হওয়ায় তাঁর প্রতিপত্তি বেশি ছিল বলেই দাবি। সিবিআইয় সূত্রে খবর, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নাকি হাউস স্টাফ হয়েছিলেন আশিস। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে মধুচক্র চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এর আগে সিবিআইয়ের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্দীপ ঘোষ ও আশিস পাণ্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পাওয়া যায়। আশিস পাণ্ডে মারফত সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’দের কাছে টাকা পৌঁছত বলেই দাবি সিবিআইয়ের। তবে কেন সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’দের টাকা পাঠানো হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। এই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারই মাঝে এবার আশিসের বিরুদ্ধে হাউস স্টাফ করার নামে ঘুষ নেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘুষের টাকাই সন্দীপের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।