ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের কাজে ফেরার নির্দেশে খুশি নয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে আপাতত আর জি করের জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠক করছেন। এর পর রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠকে বসবেন। সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক হবে পরবর্তী কর্মসূচি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাঁরা কাজে ফিরবেন কি না।
৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুবিচারের দাবিতে টানা একমাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যার জেরে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা। সিনিয়র ডাক্তাররা কোনওরকমে আউটডোর পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোগান্তির মুখে পড়েছেন রোগীরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য়ের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, কর্মবিরতির জেরে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরই আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু! সুপ্রিম কোর্টে দাবি রাজ্যের]
প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতেই হবে। আগামিকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এর অন্যথায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেই পারে। সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে কর্মবিরতি চলবে এটা হতে পারে না। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বার বার তাঁদের কাজে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। এদিন তাঁদের সঙ্গে আলোচনার জন্যও দরজা খুলে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে অবশ্য আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ ডাক্তার অনিকেত মাহাতো জানান, "গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলোচনা হতেই পারে।" তবে তাঁরা কর্মবিরতি তুলে নেবেন কি না তা জেনারেল বডির বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত হবে।