অভিরূপ দাস: আর জি কর কাণ্ডে দ্রুত বিচার চেয়ে গাড়িতে স্টিকার লাগালেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরাও। এর আগে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে রাস্তায় একাধিক সংগঠনের মিছিল দেখেছে তিলোত্তমা। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের গাড়িতে দেখা গেল ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ লেখা স্টিকার।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের গাড়িতেও লাগানো হয়েছে এমন স্টিকার। কলকাতা পুরসভার খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ডা. তরুণ সাফুই জানিয়েছেন, যিনি মারা গিয়েছেন তিনি চিকিৎসক। আমরাও সকলে চিকিৎসক। সলিডারিটি জানিয়ে এই স্টিকার লাগানো হয়েছে। স্টিকার লাগানোর আগে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ সকলের সঙ্গে কথা বলে তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, আগামীতে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক আধিকারিকের গাড়িতে দেখা মিলবে এই ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ স্টিকারের।
এর জন্য নতুন করে গোটা পঞ্চাশ স্টিকার তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই স্টিকার লাগানোয় কেউ কোনও আপত্তি জানায়নি। ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছেন সকলেই। ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। ঘটনায় দ্রুত বিচার চান মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভায় সমস্ত বিভাগের বিশ্বকর্মা পুজো পরিদর্শন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিদর্শন শেষে ফিরহাদও জানিয়েছেন, ‘‘বিচার সবার চাই। কিন্তু অনেকে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন। সেটা ঠিক নয়।’’ ফিরহাদের কথায়, ‘‘মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে, সিবিআই তদন্ত করছে, আমরা নিশ্চিত প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হবেই।’’ আরজিকর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর ম্যারাথন বিক্ষোভ-কর্মবিরতি চলছে স্বাস্থ্যভবনের সামনে। পাঁচদফা দাবি নিয়ে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপরেও ওঠেনি কর্মবিরতি। এদিন ফিরহাদ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেও জুনিয়র ডাক্তারদের নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।