নিরুফা খাতুন: ভয়ংকর কাণ্ড, ঘৃণ্যতম অপরাধ! আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রাজ্যে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও উদ্ধার হওয়া ছেঁড়া ব্লুটুথ হেডফোনের সূত্র ধরে সঞ্জয় রায় নামে ধৃতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে শিয়ালদহ (Sealdah) আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের হয়ে সওয়াল করেননি কোনও আইনজীবীই। অন্যদিকে, সরকারি আইনজীবী সওয়াল করতে গিয়ে নির্ভয়াকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেন। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সন্দেহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েল জানান, ঘটনার রাতে ঘটনাস্থল অর্থাৎ আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের সেমিনার রুমের সামনে ছিল অভিযুক্ত। আর ডিউটিতে ছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর উপর যৌন নির্যাতন (Physical Harrassment)হয় বলে দাবি পুলিশের। তরুণী প্রতিরোধের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। এর পর তাঁকে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনা নিয়ে এমনই বলছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ব্লুটুথ হেডফোনের সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার (Arrest)করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জানি, আমাকেও নৃশংসভাবে মরতে হবে’, অপরাধ নিয়ে অকপট সুবোধ সিং!]
শিয়ালদহ আদালতে তাকে পেশ করা হয়। কড়া নিরাপত্তায় পুলিশের গাড়িতে অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় আদালত চত্বরে। সাংবাদিকদেরও ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সওয়াল-জবাবের সময় সরকারি আইনজীবী এই ঘটনার সঙ্গে নির্ভয়াকাণ্ডের (Nirbhaya) তুলনা করেন। বলা হয়, আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ঘৃণ্যতম অপরাধ! এদিন অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করেননি কোনও আইনজীবীই। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত অভিযুক্তকে রাখা হবে লালবাজারে (Lalbazar) লকআপে।