অর্ণব আইচ: টানা ১২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি। রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে বেরলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, প্রচুর নথিপত্র হাতে বাড়ি থেকে বেরন তদন্তকারীরা।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই নজরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুরিভুরি। টানা ৯ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই। এর পরই রবিবার সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দীর্ঘ ডাকাডাকির পর সন্দীপ বেরন। প্রথমে বাইরের দরজার ফাঁক থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ভিতরে চলে যান। এর পর দীর্ঘক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করেন আধিকারিকরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় থানায় যায় সিবিআই। দরজা না খুললে কীভাবে প্রবেশ করা হবে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: কাঠ কুড়োতে গিয়ে গণধর্ষণ-খুনের শিকার বধূ! বিষ্ণুপুরের জঙ্গল উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ]
তারই মাঝে সকাল ৮ টা বেজে ৬ নাগাদ সন্দীপ ঘোষ দরজা খোলেন। প্রথমে ৭ জন সিবিআই আধিকারিক ভিতরে যান। পরে ঢোকেন আরও একজন। দুপুরের দিকে আরও সিবিআই আধিকারিক তাঁর বাড়িতে যান বলেই খবর। এছাড়া ফরেনসিক বিভাগের ডেমনস্ট্রেটর দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতেও যায় সিবিআই। প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের এন্টালির বাড়ি, হাওড়ার সাঁকরাইলের ব্যবসায়ী বিপ্লব সিং, হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ার মালিক চন্দন লৌহর টালার ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। আবার বিপ্লব সিংকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন রাতে হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুমন হাজরার ওষুধের দোকান ও বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিকে, এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সিবিআইয়ের একটি দল যায় আর জি কর হাসপাতালেও।