সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুমতি পাওয়া গিয়েছে আগেই। আর সময় নষ্ট করতে চান না সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, শনিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে চলছে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট। বাকিদেরও পলিগ্রাফ পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে নাকি দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন সিবিআইয়ের বিশেষ টিম। তাঁদের উপস্থিতিতে চলছে পলিগ্রাফ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর খুলবে রহস্যের জট, উঠছে প্রশ্ন।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তার পরদিন সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন তরুণী। গায়ে ছিল ক্ষতচিহ্ন। অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার সময় আর জি কর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন পড়ুয়া চিকিৎসকরা। তৎকালীন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগে সরব হন আন্দোলনকারীরা। অবশেষে এই ঘটনার 'নৈতিক দায়' নিয়ে 'স্বেচ্ছা'য় পদত্যাগ করেন সন্দীপ।
[আরও পড়ুন: আর জি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় CBI-কে নথি হস্তান্তর সিটের, সামনে আসবে কোন তথ্য?]
সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, এই ঘটনার কিনারায় সন্দীপের থেকে পাওয়া তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই তদন্তভার নেওয়ার পরই তাঁকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। গত ১৬ আগস্ট থেকে টানা ৯ দিন ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে সন্দীপকে। শুক্রবারই শিয়ালদহ আদালতে তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি চায় সিবিআই। অনুমতিও মেলে। তার পর শনিবারই শুরু হয়েছে পলিগ্রাফ টেস্টের প্রক্রিয়া। এদিকে, সন্দীপ ঘোষ ছাড়া আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চার পড়ুয়া এবং মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টও করানোর কথা।
উল্লেখ্য, পলিগ্রাফ আদতে লাই ডিটেক্টর মেশিন। যাঁর পলিগ্রাফ করা হচ্ছে তাঁর শ্বাস-প্রশাসের পদ্ধতি বলে দেবে কোন তথ্য ঠিক আর কোনটা ভুল। রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন বাড়া-কমাতেও স্পষ্ট হয় সত্যি-মিথ্যের ফারাক। শরীর মস্তিষ্ক প্রশ্নের উত্তরে কীভাবে সাড়া দিচ্ছেন তা পলিগ্রাফে প্রকাশিক হয়। সঠিক উত্তর পেতে একাধিক অপশন দিয়ে অভিযুক্তের শরীর ভাষার বদল খেয়াল করলেই মেলে উত্তর। তবে পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্ট একশো শতাংশ ভরসাযোগ্য কিনা, তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে।