ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সুপ্রিম কোর্টের আর্জিতেও গলল না বরফ। কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নন এমার্জেন্সি সার্ভিস অর্থাৎ বহির্বিভাগে এখনও কাজ বন্ধ থাকবে বলেই সাফ জানান বিক্ষোভকারীরা।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট করেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক। ওই রাতে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। গোটা শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবাদ সরব গোটা দেশ। চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতিতে শামিল চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া বন্ধ সবই। তার ফলে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার।
[আরও পড়ুন: ‘দেশজুড়ে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা’, দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবিতে মোদিকে চিঠি মমতার]
বৃহস্পতিবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মামলার দ্বিতীয় শুনানিতে আরও একবার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি জানান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “১৩ দিন ধরে এইমসের চিকিৎসকেরা কাজ করছেন না। তাঁদের বলব, দয়া করে কাজে ফিরুন। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না আমরা তা নিশ্চিত করব।” সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে একটি পোর্টাল খুলতে বলা হয়েছে। সেখানে পরামর্শ জানানো যাবে। বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, পড়ুয়াদের পরামর্শ শুনবে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। গত মঙ্গলবারের শুনানিতে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা কাঠামো ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরই আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির এইমসের চিকিৎসকরা। তবে সুপ্রিম কোর্টের আর্জির পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আন্দোলন জারি থাকবে বলেই সাফ জানান তাঁরা।