সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে(RG Kar Protest) যতই অরাজনৈতিক বলা হোক, এর নেপথ্যে রাজনীতির যোগ রয়েছে। 'প্রমাণ-সহ' ফের জোরাল দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার কোকেন কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মডেল পামেলা গোস্বামীকে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে। এবার দেখা গেল বিজেপির যুব মোর্চার উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতিকে। অন্তত এমনটাই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ শুক্রবার সকালে সোশাল মিডিয়ায় দাবি করলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের ধরণায় বিজেপির যুব মোর্চার উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি সুবোধ দাস হাজির ছিলেন। তাও সদলবলে, রসদ-সহ। শ্লেষের সঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'অরাজনৈতিক'! বস্তুত জুনিয়র ডাক্তারদের 'অরাজনৈতিক' আন্দোলনের নেপথ্যে যে রাজনীতির যোগ রয়েছে, সে কথা শোনা গিয়েছে একেবারে তৃণমূলের শীর্ষস্তর থেকে। এবার 'প্রমাণ' প্রকাশ্যে আনা শুরু করল শাসকদল।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালির অশান্তির মাঝেও নদীবক্ষে প্রেম দিবস পালন নুসরতের! তোপ বিজেপির]
মঙ্গলবার রাতেই চিকিৎসকদের অবস্থানে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী ঊষশী চক্রবর্তীকে। বামপন্থী হিসাবে খ্যাতি রয়েছে তাঁর। বুধবার কোকেন কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মডেল পামেলা গোস্বামীকে দেখা গিয়েছে অবস্থানে ডাক্তারদের মধ্যে বিস্কুট-চকোলেট ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য বিলি করতে। পামেলা বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার দেখা গেল সুবোধ দাসকে। তিনিও রসদ বিলি করছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারাধীন বিষয়’, নবান্নে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আপত্তিতে ‘সুপ্রিম’ যুক্তি মমতার]
বস্তুত আন্দোলনের নেপথ্যের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছিল, বৃহস্পতিবার তাঁদের নবান্নের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার পরই। প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে, আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দলবেঁধে নবান্নে আসা, অথচ বৈঠকে না ঢুকে বাইরে বসে থাকা, টিভি ক্যামেরার লাইভ টেলিকাস্টের সামনে ক্ষণে ক্ষণে নতুন দাবি রাখা- কী কারণ এসবের পিছনে? নবান্নে পৌঁছেও বৈঠক কক্ষে ঢুকতে টানা অনুরোধ ও প্রত্যাখ্যান, টানটান উত্তেজনার মাঝে ঘন ঘন ফোন এল আন্দোলনকারীদের মোবাইলে। চাপা স্বরে ফোনালাপ। এবং শেষ পর্যন্ত বৈঠক ভেস্তে যাওয়া। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে অনড় থাকা। এসবের কারণ কী?