সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারে ৯ সেপ্টেম্বর। আজ থেকে ঠিক এক মাস আগের সকালে শহরটা ঢিমেতালেই ঘুমের আরমোরা ভাঙছিল। সাতসকালে আর জি কর হাসপাতালে তখনও কর্তব্যরত তরুণী ডাক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পরও সেদিন মানুষের বুক কেঁপে ওঠেনি! তবে ১৪ আগস্টের পর থেকে এ শহর আর ঘুমোয়নি। প্রতিনিয়ত অক্লান্ত শরীরে লড়ে যাচ্ছে। ৩০ দিন পেরলেও সেই একইভাবে প্রতিবাদ চলছে শহরজুড়ে। সোমবার সুপ্রিম শুনানির আগেও রাতভর জাগল কলকাতা। এদিন পথে নেমেছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও (Kaushik Ganguly)।
যাদবপুরে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে কৌশিকও আওয়াজ তুললেন ন্যায়বিচার চেয়ে। ছিলেন অনুপম রায়। এই তিন দফা রাতদখল। এত প্রতিবাদ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন দেখে গর্বিত কৌশিক। শীর্ষ আদালতের কাছে একদিকে তিনি যেমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, তেমনই ন্যাবিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের কাছে একটু ধৈর্য্য ধরারও আর্জি জানালেন।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, "তথ্যপ্রমাণ লোপাটের যে চেষ্টা হয়েছে, যাদের বোধ আছে, তারা সকলেই জানেন। তাই বিচার পেতে সময় লাগবে। কাসভের ফাঁসি হতে ৫ বছর সময় লেগেছিল। তাই ধৈর্য্য তো একটু ধরতেই হবে। তবে হ্যাঁ, যত দ্রুত সম্ভব তদন্তের গতি বাড়িয়ে শাস্তি দিতেই হবে। শীর্ষ আদালতের দায়িত্ব একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। যাতে এই শাস্তি উদাহরণ তৈরি করে। তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চান না, এমন কোনও রাজনৈতিক দল আছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু যারা এই ঘটনাকে প্রশয় দিয়েছে, তথ্য লোপাটের চেষ্টা করেছে, তারাও ধর্ষকদের মতোই সমান দোষে দুষ্ট। তারা শাস্তি না পেলে মানুষের এই যন্ত্রণা কমবে না।"
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সংযোজন, "সকলের হাতে জাতীয় পতাকা। আমি গর্বিত আমি এমন এক শহরে থাকি যেখানে মানুষ বুক চিতিয়ে নিজেদের অভাবের কথা বলতে পারে। অভিযোগ জানাতে পারে। এমন সাহস অন্য কোনও রাজ্যের মানুষজনের মধ্যে পাওয়া যাবে না। এই জাতীয় পতাকা প্রমাণ করে দেয় আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের নই। সাধারণ মানুষের একটাই পতাকা সেটা দেশের পতাকা। আমরা ভারতবাসী এবং আমরা স্বাধীনতার জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য এইভাবে আজ পথে নেমেছে।"