প্রণব সরকার, আগরতলা: এবার বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন করে দেশের মধ্যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ত্রিপুরা। তবে এর আগে বাঁশ থেকে বিস্কুট তৈরি হয়েছে রাজ্যে।
[আরও পড়ুন: জয়ললিতার উত্তরাধিকার বিতর্কের অবসান! স্থায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ পেল AIADMK]
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বাঁশ থেকে চাল ও বিস্কুটের উৎপাদনকে আর্থিক ভাবে লাভজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, বাঁশের বীজ থেকে তৈরি চালে অনেক বেশি প্রোটিন থাকে। মেরুদন্ডে ব্যাথা, গাঁটের ব্যাথা ও কোলেস্টোরেলের সমস্যা প্রতিরোধে বাঁশের চাল অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া বাঁশের চালে রয়েছে ডায়বেটিস প্রতিরোধক উপাদান। রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন। এছাড়া বাঁশের ফুল থেকে উৎপাদিত এই চাল অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক। এই চাল উৎপাদন করে একজন সহজেই স্বরোজগারী হতে পারবেন। সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা ব্যাম্বু রাইস বাজারজাতকরণের উপর গুরুত্ব দিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বললেন মুখমন্ত্রী।
রাজ্যে প্রথমবার বাঁশফুল থেকে প্রক্রিয়াজাত করে চাল উৎপন্ন করে বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বাঁশের ফুল থেকে উৎপাদিত এই চাল অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। এই চাল উৎপাদন করে একজন সহজেই স্বরোজগারী হতে পারবেন। সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা ব্যাম্বু রাইস বাজারে ছাড়ার উপর গুরুত্ব দিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, “ত্রিপুরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বাঁশের চাষ হয়। এই বাঁশকে ভিত্তি করে রোজগারের উৎস সৃষ্টি হচ্ছে।” সম্প্রতি বাঁশের শিকড় থেকে বিস্কুট তৈরী করেছে রাজ্যের উদ্যোগীরা। পাশাপাশি এখন এই বাঁশের ফুল থেকে তৈরী হচ্ছে চাল। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য চালের মতোই বাঁশের ফুল থেকে মিলিং করে এই চাল তৈরি করতে হয়। এই চাল সুগার ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে সহায়ক, সেই সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই চাল। এই চালে অন্যান্য চালের তুলনায় প্রোটিনও অধিক রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁশফুলের মাধ্যমে উৎপন্ন এই চাল বাজারজাত করায় উদ্যগী হয়েছে রাজ্য সরকার।