সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। আর এবিষয়ে বলতে গিয়ে কার্যতই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নিযুক্তি ব্রিটেনের বৈচিত্রকেই প্রকাশ করছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
৪২ বছরের সুনাক ব্রিটেনের তরুণতম প্রধানমন্ত্রী। নিজের নিযুক্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ”এটা দারুণ। বহু মানুষের কাছে বহু তাৎপর্য রয়েছে।” একথা বলার সময় কার্যতই উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে তাঁকে। তাঁর কথায়, ”এটা দুর্দান্ত ব্যাপার। তবে ভেবে দেখলে এটাই ব্রিটেন।”
[আরও পড়ুন: প্রয়োজনে হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো হাল করতে হবে, পুতিনের বক্তব্যে উদ্বিগ্ন পশ্চিমি দুনিয়া]
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পরে দেশের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় সুনাক পরিষ্কার জানিয়ে দেন, দেশের সর্বাঙ্গীন উন্নতি সাধন করতে চান তিনি। তবে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করে তোলাকেই মূল লক্ষ্য করে এগোতে চান ঋষি। এই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এই কথাও জানিয়ে দেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে ঋষি জানিয়েছেন, “কোভিডের সময়ে আপনারা আমার কাজ দেখেছেন। একইভাবে দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি দিন-রাত পরিশ্রম করব।”
তবে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ঢুকে পড়লেও, ঋষির সামনে এখন পাহাড় প্রমাণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় পর্যুদস্ত ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই পড়ে যাচ্ছে পাউন্ডের দামও। ফলে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে গেলে কঠোর নীতি অবলম্বন করা ছাড়া উপায় নেই ঋষির সামনে। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে নতুন করে সাধারণ মানুষের উপরে করের বোঝা চাপালে জনসমর্থন হারানোর আশঙ্কা থাকবে কনজারভেটিভ পার্টির সামনে। একসঙ্গে এত চ্যালেঞ্জ সামলে কীভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান সুনাক আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।