সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমারে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে সেনা-বিদ্রোহী লড়াই৷ ফলে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে বাংলাদেশে৷ সদ্য প্রকাশিত রাষ্ট্রসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক রাতেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন প্রায় ১৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ‘টেকনাফ’ দিয়ে প্রবেশ করছেন তাঁরা৷
[বাংলাদেশে ডুবল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নৌকো, তলিয়ে গেল বহু প্রাণ]
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এপর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন প্রায় ১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী৷ ফলে চাপ বাড়ছে ঢাকার উপর৷ এদিকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে নারী শিশু-সহ ২ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এঁদের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ২৬৬ জন শিশু, ৪৮৭ জন নারী ও ২৫৮ জন পুরুষ। ইতিমধ্যে নাফ নদীতে নৌকোডুবি হয়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো শরণার্থীর৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় শতাধিক লাশ ভাসতে দেখা গিয়েছে ওই নদীতে৷
রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিক ভিভিয়ান ট্যান জানিয়েছেন, যেভাবে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় বড়সড় সমস্যা সৃষ্টি হতে চলেছে। তিনি বলেন, কুতুপালং ও নয়াপাড়ার ত্রাণশিবিরে তিল ধারণের জায়গা নেই। স্থানীয় স্কুল-মাদ্রাসা ছাড়াও, বিভিন্ন খোলা জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে উদ্বাস্তুদের ঠাঁই দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ইদের ছুটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হলেও, ছুটির পর কী হবে তা নিয়ে ত্রাণ সংস্থাগুলি উদ্বিগ্ন। এপারের শরণার্থীরা জানিয়েছেন, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার অপেক্ষায় রয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ৷ মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা। অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে পুলিশ। বিবিসি সূত্রে খবর, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে চলা লড়াই থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রতিদিনই আরও বেশি করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।
[মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালেন অন্তত ৫০০ হিন্দু]
The post রাতারাতি বাংলাদেশে প্রবেশ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর appeared first on Sangbad Pratidin.