সুকুমার সরকার, ঢাকা: গল্প হলেও সত্যি! মাঝ সমুদ্রে এক মাস কাটিয়ে অবশেষে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছল ৫৭ রোহিঙ্গা শরণার্থী। দেশটির সৈকতে পৌঁছনো রোহিঙ্গাদের সবাই পুরুষ বলে জানা গিয়েছে। সমুদ্রে এতগুলি দিন কাটানোর ফলে তারা খুবই ক্ষুধার্ত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের সৈকতে পৌঁছয় রোহিঙ্গাদের নৌকাটি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় সেটি মাঝ সমুদ্রে দিশাহীন ভাবে ভাসতে শুরু করে। আপাতত সরকারি আশ্রয় শিবিরেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কোথা থেকে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকেই তারা নৌকায় চেপেছিল। ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে পৌঁছনো ওই রোহিঙ্গারা এক সপ্তাহ আগে সমুদ্রে আটকে পড়া ১৫০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর অংশ কিনা, বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। রোহিঙ্গারা মায়ানমারে সংখ্যালঘু। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র উইনার্দি জানিয়েছেন, আচেহ প্রদেশে স্থানীয় সময় রবিবার সকালে কাঠের নৌকায় চড়ে ৫৭ জন পুরুষ রোহিঙ্গা শরণার্থী পৌঁছয়।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে ঢাকায় মেট্রোর উদ্বোধন, প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রো চড়ে অফিস যাবেন হাসিনা]
এদিকে, পণ্যবাহী ট্রাকে সফর করার সময় মায়ানমারের ইয়াঙ্গন থেকে ৭০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে জুন্টা সরকার জানিয়েছে, ঘটনাটি এক সপ্তাহ আগের। ট্রাকটি রাস্তার খালে পড়ে গেলে সেখান থেকে ওই রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ। তারা ট্রাকে থাকা আদার বস্তায় লুকিয়ে ছিল। জুন্টা সরকারের দাবি, এসময় এক বাংলাদেশি নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রাকের চালক ও সহকারীকে খুঁজছে কর্তৃপক্ষ। তারা মায়ানমারের নাগরিক।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে অবৈধভাবে সমুদ্রপথ পেরিয়ে মালয়েশিয়া (Malaysia) যাওয়ার পথে রোহিঙ্গাদের একটি ট্রলার ডুবে যায়। বাংলাদেশের (Bangladesh) কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ জন রোহিঙ্গাকে। টেকনাফ কোস্টগার্ডের জানায়, উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হরমুনিয়া পাড়া এলাকার উপকূলবর্তী গভীর সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি ছিল বলে জানা যায়।