সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার গঠন নিয়ে নাটকের মাঝেই কর্ণাটক রাজনীতির আরেক পর্ব মুম্বইতে৷ বুধবার সকালে মুম্বই পৌঁছান কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ডি কে শিবকুমার৷ ওঠার কথা ছিল একটি পাঁচতারা হোটেলে, যেখানে প্রায় সময়েই তিনি থাকেন৷ কিন্তু হোটেলে প্রবেশে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ কারণ,ওই হোটেলেই ‘বন্দি’ কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা৷
[আরও পড়ুন: ‘দাবাং’ শিরিনের জীবনই অনুপ্রেরণা, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল তাঁর সংগ্রামের কাহিনি]
এনিয়ে সাতসকালেই উত্তপ্ত হয়ে উঠ পরিস্থিতি৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের ওই পাঁচতাবার হোটেলে আপাতত ‘বন্দি’ কর্ণাটকের বিধায়করা নিজেদের জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন৷ সেইমতো হোটেলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে৷ তাঁরাই বুধবার সকালে শিবকুমারকে আটকান৷ ওই চিঠি দেখিয়ে বলেন, ‘এই চিঠির জন্য আপনাকে ভিতরে ঢুকতে দিতে পারছি না৷’ এনিয়ে মুম্বই পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে শিবকুমারের তর্ক বাঁধতেও দেখা যায়৷ পুলিশের কথায়, তিনি বারবার বলছিলেন যে তিনি ঘর বুক করে এসেছেন৷ হোটেল তাঁকে এভাবে ফেরাতে পারে না৷ শিবকুমার বলেন, ‘আমি এখান থেকে কিছুতেই যাব না৷ দিনভর এখানেই বসে থাকব৷’ তারপরই অনুননয়ের সুরে তিনি বলেন, ‘আমাকে ঢুকতে দিন৷ আমি আরাম করতে চাই, বিশ্রাম করতে চাই৷ সঙ্গে সঙ্গে এক পুলিশ অফিসার নাকি তাঁকে বলেন, তাঁর বিশ্রাম এবং কফির ব্যবস্থা পুলিশই করে দেবে৷ এও জানানো হয়, ওই পাঁচতারা হোটেলে নয়৷ স্থানীয় কোনও গেস্ট হাউসে শিবকুমারের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে৷ বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টির মধ্যে তাঁকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলেও অভিযোগ করেন কর্ণাটকে কংগ্রেসের সংকটমুক্তিকারী এই নেতা৷
এদিকে, শিবকুমারকে দেখেই হোটেলের বাইরে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অনেকে৷ গেটে পোস্টারও পড়ে৷ তাঁর গাড়ি ধরেও চলে বিক্ষোভ৷ কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস নেতা শিবকুমার দায়ী করেছেন বিজেপিকেই৷ তাঁর কথায়, ‘দেখতে এসেছিলাম, আমাদের বন্ধুরা এখানে কেমন আছেন৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলতাম, খোঁজখবর নিতাম৷আমরা এই দলের জন্য সবসময়ে এক হয়ে কাজ করেছি, করেও যাব৷’
[আরও পড়ুন: ফের চমক অধীরের, পেতে পারেন লোকসভার আরও গুরুত্বপূর্ণ পদ]
শিবকুমারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্রোহী বিধায়করা জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে খবর আছে, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পরামর্শেই শিবকুমার মুম্বই গিয়েছেন৷ সেখানে বুঝিয়েসুঝিয়ে না পারলে, জোরজবরদস্তি করেই বিধায়কদের কর্ণাটক ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে৷ আর এই আশঙ্কা থেকেই পুলিশি নিরাপত্তার জন্য চিঠি লিখেছেন তাঁরা৷ সবমিলিয়ে, কন্নড় রাজনীতির এবারের নাটকে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব চলছে মারাঠাভূমে৷