সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাতের ভদোদরায় গাড়ির মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর তার তদন্তে নেমে পুলিশ ভদোদরা সড়ক পরিবহণ দপ্তরের (আরটিও) কাজে জানতে চেয়েছে স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি)-র মধ্যে ধর্ষণ করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা? আর এই প্রশ্নে উত্তর খুঁজতে গিয়ে এখন আতান্তরে পড়েছে ভদোদরার (Vododara) আরটিও।
গত ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে গুজরাতের ভদোদরায় এক মহিলাকে গাড়ির মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ৩০ এপ্রিল অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। এর পর অভিযুক্তকে ২ মে রাজস্থানের জয়পুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম ভবেশ প্যাটেল। সে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচতি। তার বিরুদ্ধে আরও ১৮টি মামলা চলছে। এবার তার বিরুদ্ধে নিখুঁত তথ্য প্রমাণ দিয়ে কেস সাজাতে চাইছে পুলিশ। তাই তার টয়োটা ফর্চুনার গাড়ির ভিতরে ধর্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা তা জানতে চাইছে।
এখন তদন্তকারীরা আরটিও-র কাছে ২টি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছে। প্রথমত, ওই গাড়ির সামনের সিট যদি পিছনের দিকে হেলিয়ে দেওয়া হয় তবে ধর্ষণ করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যায় কিনা। দ্বিতীয়ত, নির্যাতিতা মহিলা তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল লক ছিল বলে তিনি বেরতে পারেননি গাড়ি থেকে। সে ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল লক সিস্টেম কি কেবল ড্রাইভারের কাছ থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? ভদোদরার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তাঁরা এই দুটি প্রশ্নের উত্তর পেলেই সওয়াল জবাবের জন্য তা পেশ করবেন।
[আরও পড়ুন: মোদি সরকারের গাফিলতিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকেই আঙুল তুলল ‘ল্যানসেট’]
ভদোদরা আরটিও-র আধিকারিকরা এই প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত হতবাক। এক অফিসার জানিয়েছেন, সাধারণত কোনও পুলিশি তদন্তে তাঁরা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, অন্যান্য তথ্য, গাড়ির অবস্থা কেমন ছিল এই সব তথ্য দিয়ে তদন্তকারীদের সাহায্য করেন। কিন্তু এই রকম প্রশ্নের মুখে প্রথমবার পড়তে হল তাঁদের।এখন দেখার এই প্রশ্নের উত্তর তাঁরা কী ভাবে দেন। আর সেই উত্তর কী ভাবেই বা খুঁজে বার করেন।
[আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা, দেশজুড়ে সার্বিক লকডাউনের পক্ষে সওয়াল IMA’র]