সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। হাজার হাজার সেনার মৃত্যু ও লক্ষ লক্ষ মানুষের আর্তনাদ সত্ত্বেও লড়াই থামাতে রাজি নয় কোনও পক্ষই। হামলার ঝাঁজ বাড়িয়ে এবার রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়ার ‘পুতুল সরকার’কে নিশানা করছে ইউক্রেন! এহেন পরিস্থিতিতে, মস্কোর দাবি, কিয়েভের নির্দেশে ক্রাইমিয়ার প্রশাসনিক প্রধানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘TASS’ জানিয়েছে, ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের প্রশাসনিক প্রধানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা। এক বিবৃতিতে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি জানিয়েছে, ‘রিপাবলিক অফ ক্রাইমিয়ার প্রধান সের্গেই আকসিওনোভকে হত্যার ছক বানচাল করে দেওয়া হয়েছে। এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে। এই ঘটনায় এক সন্দেহভাজন রুশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা কাজে নিয়োগ করেছিল।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া (Russia)। তারপর থেকেই সেখানে মস্কো সমর্থিত প্রশাসন কাজ করছে। উপদ্বীপটিতে রুশ সেনাঘাঁটিকে বারবার নিশানা করে হামলা চালিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। পালটা আঘাত হেনেছে রাশিয়াও।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেন সফরে বাইডেন, রাজ্যাভিষেকের পর প্রথমবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ তৃতীয় চার্লসের]
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ওয়াগনার বিদ্রোহে নতুন মওকা পেয়েছিল কিয়েভ। তবে শেষ মুহূর্তে পুতিন পরিস্থিতি সামলে নেওয়ায় হতাশা গ্রাস করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তাঁর সেনাকে। ওয়াগনার বাহিনী মস্কো পৌঁছলে যে রাশিয়া জুড়ে এক ‘গৃহযুদ্ধ’-র পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যেত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি হলে ইউক্রেনের পক্ষে প্রতি-আক্রমণ সহজ হত। ইউক্রেন এখন ক্রাইমিয়া উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্রাইমিয়ার দখল নিতে পারলে যুদ্ধে রাশিয়া পিছু হটবে। ওয়াগনার বাহিনী বিদ্রোহে ইতি টানায়, সবটাই প্রশ্নচিহ্নর মুখে দাঁড়িয়ে গেল।