সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার মাসের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে সাম্প্রতিক কালে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে রাশিয়া। ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ দাবি করল, লুহান্সক অঞ্চলে ইউক্রেনের আধিপত্য শেষ করে দিয়েছে তারা। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লিসিচানস্ক সম্পূর্ণ ভাবে রাশিয়ার আধীনে চলে এসেছে, এমনটাই বলেছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই শোইগু। গত সপ্তাহেই সেভেরদোনেৎস্ক শহর দখল করেছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের তরফে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
রাশিয়ার জাতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হয়েছে, রবিবার আলোচনায় বসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও শোইগু। সেখানেই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমাদের সামরিক অভিযান সফল হয়েছে। লুহান্সকের সাধারণ মানুষের সঙ্গে একজোট হয়ে আমাদের সেনাবাহিনী লিসিচানস্ক শহর দখল করেছে।” প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়ার তরফে বলা হচ্ছিল, সমগ্র ইউক্রেন দখল করা মস্কোর উদ্দেশ্য নয়। পূর্ব ইউক্রেনের স্বাধীনতাকামী মানুষের স্বার্থে দোনবাস অঞ্চল দখল করাই একমাত্র লক্ষ্য।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা পাকিস্তানে, যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে মৃত অন্তত ১৯]
সেভেরদোনেৎস্কের মতোই শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন লিসিচানস্ক শহরের বাসিন্দারা। তবে শনিবারই লুহান্সক অঞ্চলের গভর্নর জানিয়ে দেন, চারদিক থেকে লিসিচানস্ক ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। প্রচন্ড সংঘর্ষ চলছে দু’পক্ষের মধ্যে। গোটা শহর রাশিয়ার দখলে যেতে খুব বেশি দেরি নেই। এমনকী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন পরামর্শদাতাও বলেছিলেন, দু-এক দিনের মধ্যেই লিসিচানস্কের পতন হবেই। তবে এখনও ইউক্রেনের তরফে লিসিচানস্কের পতন নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের একটি শপিং মল ও একটি আবাসনে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দু’টি ঘটনা মিলে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে দু’ বারই এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে মস্কো। অন্যদিকে রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশ দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে ইউক্রেন। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে কিয়েভ। রাশিয়াকে সমর্থন করলেও বেলারুশের সেনাবাহিনী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। ইউক্রেনের তরফ থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে বেলারুশ।