সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগে ২০১৬ সালে অভিযোগ উঠেছিল, হিলারি ক্লিন্টনকে মার্কিন নির্বাচনে হারানোর জন্য নাকি চেষ্টা করেছিল রাশিয়ার (Russia) পুতিন সরকার। ২০২০ সালের নির্বাচন (US Election 2020) ঘিরেও এমনই অভিযোগ উঠল। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, গত নভেম্বরে নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে কলকাঠি নেড়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার প্রকাশিত ১৫ পাতার ওই রিপোর্ট নিয়ে এবার মুখ খুলল রাশিয়া।
আমেরিকায় অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের তরফে ফেসবুকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ”মার্কিন গোয়েন্দাদের তৈরি করা নথিতে একগুচ্ছ ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়েছে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের।” রাশিয়ার তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, কোনও উপযুক্ত প্রমাণ বা তথ্য ছাড়াই এমন অভিযোগ করছে ওয়াশিংটন। তাদের পালটা অভিযোগ, আমেরিকা নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাশিয়ার নাক গলানোর এমন অভিযোগ তুলে রাশিয়ার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: দেশ চালানোর ‘যোগ্যতা’ নেই ইমরানের! সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পাক প্রধানমন্ত্রী]
ঠিক কী বলা হয়েছে মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্টে? দাবি করা হয়েছে, বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে ব্যবসা সংক্রান্ত ভুয়ো অভিযোগ আনার চেষ্টা করছিলেন পুতিন। উদ্দেশ্য ছিল, ভোটের আগে বাইডেনের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। এতে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠদেরও সমর্থন ছিল। মঙ্গলবারই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দ্রুত মস্কোর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা ভাবছে আমেরিকা। নির্বাচনে চক্রান্ত করার পাশাপাশি মার্কিন সরকারি নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য চুরির অভিযোগও তোলা হয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এই হ্যাকিংয়ের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
আমেরিকার এমন আচরণকে একেবারেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না রাশিয়া। তাদের বিবৃতিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের মূল লক্ষ্যই হল বিশ্বের কাছে রাশিয়ার একটা নেগেটিভ ভাবমূর্তি তৈরি করা। আমেরিকার এমন সব অভিযোগের ফলে যে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাও বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।