সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) প্রায় ২ মাস হতে চলল। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। এই পরিস্থিতিতে নতুন এক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করল রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) নিজেই এই ঘোষণা করেছেন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘সারমাট আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’। পুতিনের সদর্প ঘোষণা, এই ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের পরে তাঁর শত্রুরা রাশিয়ায় হামলা চালানোর ব্যাপারে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হবে!
পুতিন বলছেন, ”এই অস্ত্র অনন্য, আমাদের অস্ত্রসম্ভারে এটি এক অভিনব সংযোজন।” তাঁর আরও দাবি, অত্যাধুনিক অ্যান্টি-মিসাইল ডিফেন্সও এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাগাল পাবে না। অর্থাৎ এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র।
[আরও পড়ুন: মাদক পাচারের অপরাধে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে ফাঁসির সাজা]
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার উত্তর রাশিয়ায় (Russia) ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণের ব্যাপারে। দেখা গিয়েছে, এটি ৬ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমী দেশগুলি একে ‘সাটান ২’ বলে ডাকছে।
কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কেন এত উল্লসিত রাশিয়া? আসলে এটি একসঙ্গে একাধিক পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। সেই সঙ্গে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতেও এর জুড়ি নেই। এর থেকেই পরিষ্কার, কতটা ভয়ংকর আঘাত হানতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তাছাড়া শক্তিশালী রাডারও এর উপস্থিতির আঁচ পাবে না। ফলে আচমকাই এটি লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারবে।
এদিকে পুতিনের হুঁশিয়ারি ঘিরে নতুন করে আশঙ্কার ছায়া। এর আগেও তিনি পরমাণু হামলার কথা বলেছিলেন। পাশাপাশি ইউক্রেন হামলার পরেই পুতিনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, যে সব দেশ রাশিয়ার পথ আগলে দাঁড়াবে তারা যেন প্রত্যুত্তরের বিষয়েও সচেতন থাকে। তাদের এমন জবাব দেওয়া হবে, যার মুখোমুখি এর আগে কখনও হয়নি।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার হুঁশিয়ারি উড়িয়ে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তি চিনের, ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ]
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপরে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। তারপর থেকেই কিয়েভ-সহ নানা শহরের ভয়ংকর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবারই পুতিন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মারিওপোল শহর ‘মুক্ত’। এর মধ্যেই নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা।