সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধের দামামা (Russia-Ukraine War) পৌঁছে গিয়েছে মহাকাশেও । মস্কোর হুঙ্কার, রাশিয়ার উপর থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা না তুললে পরিণতি হবে চরম। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভূখণ্ডে বা সমুদ্রে ভেঙে পড়তে পারে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (Space Station or ISS)। এই হুঁশিয়ারি ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শনিবার রাশিয়ার উপর আরও একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা (USA)। আর্থিকভাবে আরও ধাক্কা দেওয়ার জন্য জি-৭ গোষ্ঠী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলিকে সতর্ক করল রাশিয়া।
[আরও পড়ুন: ৪ রাজ্যে জিতেই চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে কোপ! ৪৪ বছর পর সর্বনিম্ন ইপিএফের সুদের হার]
এদিন রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের (Roscosmos) প্রধান দিমিত্রিয় রোগোজিন জানিয়েছেন, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণায় প্রভাব ফেলবে। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে প্রভাব পড়বে। যার জেরে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্পেস স্টেশনের রাশিয়ার একাংশ। আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা ঘটবে। তাই রোগোজিনের হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আগে পশ্চিমী দেশগুলির ভেবে দেখা উচিত। উল্লেখ্য, স্পেস স্টেশনে রাশিয়ার অংশ এই গবেষণাগারের কক্ষপথ ঠিক রাখার কাজ করে।
মহাকাশে বরাবরই কড়া টক্কর আমেরিকা-চিন-রাশিয়ার। বিভিন্ন অভিযানে একে অপরের কড়া প্রতিযোগী। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন যদিও আমেরিকার (USA) সঙ্গে যৌথভাবেই ব্যবহার করেন রুশ মহাকাশচারীরা। তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধের আবহে সেই সহযোগিতায় আপাতত ইতি। বরং পুতিনের দেশ এখন মহাকাশেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। NRO’র মতে, পুতিনের নিশানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার পাঠানো উপগ্রহগুলি। শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে সেসব ধ্বংস করতে পারে রাশিয়া। গোপন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের স্যাটেলাইট সিস্টেমে (Satellite System) আঘাত হানার প্রস্তুতি নিয়েছে পুতিনের দেশ।
[আরও পড়ুন: বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার, কাশ্মীরে নিকেশ কুখ্যাত জইশ কমান্ডার-সহ ৪ জেহাদি]
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে মরিয়া রুশ প্রেসিডেন্ট। তার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি অবশ্যই উপগ্রহ মারফত নজরদারির ব্যবস্থাকে অচল করে দেওয়া। তাহলে কোনওভাবেই ইউক্রেনের পক্ষে রুশ সেনার গতিবিধি টের পাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে মোকাবিলার প্রস্তুতিও ধাক্কা খাবে। তাই তাদের প্রথম টার্গেট, জিপিএস সিস্টেমে আঘাত হানা।