সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেক অফের পরেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল চপার। শেষ পর্যন্ত চপারে থাকা ২২ জনের মৃত্যুর খবর মিলল। রবিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ায়। সেদেশের সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, প্রবল ঝড়বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চপারটি। তার জেরেই চপার ভেঙে পড়ে। কপ্টারে থাকা সকল যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে।
রুশ সংবাদসংস্থা টাস সূত্রে খবর, শনিবার ভাচকাজেটস আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন একটি হেলিপ্যাড থেকে টেক অফ করে এমআই-৮টি হেলিকপ্টার। মস্কো থেকে প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার দূরে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে চপারটি। তার পরেই কপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আশঙ্কা ছড়ায়, কামচাটকা উপদ্বীপের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে হয়তো চপারটি ভেঙে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ার থেকে সরবে না অলিম্পিকের পঞ্চবলয়, ঘোষণা প্যারিসের মেয়রের]
খবর পেয়েই উদ্ধারকাজ শুরু করে রুশ প্রশাসন। তবে সেখানেও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন উদ্ধারকারীরা। প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছনো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুর্ঘটনার এলাকায় পৌঁছনোর রাস্তাও। ঘন জঙ্গলে ঢাকা এলাকায় উদ্ধারের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য আকাশপথেও ওই এলাকায় পৌঁছতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। ফলে সাতটি দলকে পাঠানো হলেও কপ্টারটি উদ্ধার করতে দেরি হয়ে যায়।
অবশেষে রবিবার সকালে বৃষ্টি খানিকটা কমার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ৬০ জন উদ্ধারকারীর বিশেষ দল। তবে কপ্টারের কোনও যাত্রীকেই জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। কামচাটকার পূর্ব দিকে চপারটির ভাঙাচোরা অংশ পাওয়া যায়। কিন্তু কী কারণে ভেঙে পড়ল যাত্রীবোঝাই চপার, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়েই ভেঙেছে চপারটি।