সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামেই যুদ্ধবিরতি। অথচ উদ্ধারকাজ চলাকালীনও এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়েছে পুতিনের বাহিনী। আর তাতে প্রাণও গিয়েছে নিরীহ নাগরিকদের। রবিবারই ইরপিন এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২ শিশু-সহ মোট ৩ জনের। শনিবারও উদ্ধারকাজ চলাকালীন মৃত্যুর খবর মিলেছিল।
রবিবার ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ১১তম দিন। ইতিমধ্যে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহরের। জল, বিদ্যুৎ, খাবার ছাড়া শহরে শহরে দিন কাটাচ্ছেন নাগরিকরা। আটকে রয়েছেন ভিনদেশের পড়ুয়ারাও। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কাছে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছিল ভারত-সহ একাধিক দেশ। সেই আরজি মেনেছেন পুতিন। শনিবার ৫ ঘণ্টা ও রবিবার আড়াই ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে মস্কো। কিন্তু সেটা নামেই বিরতি বলে দাবি করছে ইউক্রেনের একাধিক সংবাদমাধ্যম।
[আরও পড়ুন: প্রথম টেস্টে হেলায় লঙ্কাজয় ভারতের, কপিল দেবের রেকর্ড ভাঙলেন অশ্বিন]
ইউক্রেনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার মারিওপোল শহরে উদ্ধারকাজ মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয়। কারণ উদ্ধারকাজ চলাকালীন রুশ বাহিনী গোলাবর্ষণ করছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে তিন নাগরিকের মৃত্যু হয় বলে খবর। একই পরিস্থিতি খারকভেও। রবিবারও পুনরাবৃত্তি ঘটল সেই ঘটনার। এবার রুশ হামলার টার্গেট ইরপিন শহর। অভিযোগ, যে সেতুর উপর দিয়ে নাগরিকদের নিয়ে আসা হচ্ছিল সেই সেতুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রুশ সেনা। সেখানেই ২ শিশু-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে রুশ হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে ভিনেতশিয়া বিমানবন্দর। এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনে যুদ্ধের ময়দানে আটকে পড়েছিলেন বহু ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে অনেককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সুমি সীমান্তে আরও কয়েকজন আটকে রয়েছেন। তাঁদেরও নিরাপদে দেশে ফেরাতে মরিয়া মোদি সরকার। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে শেষ ভারতীয় নাগরিককে না ফেরানো পর্যন্ত চলবে ‘অপারেশন গঙ্গা’।