সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল। কৃষ্ণসাগরে বাজল রণডঙ্কা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনে (Ukraine-Russia War) সামরিক অভিযানের ঘোষণা করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। অর্থাৎ কার্যত ইউক্রেন দখলের পথেই হাঁটল মস্কো। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে এমনটাই খবর। রাশিয়ার এই চরম পদক্ষেপে কার্যত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডঙ্কা বাজিয়ে দিল বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। যার বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে গোটা বিশ্বে।
এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইউক্রেনে (Ukraine) সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার এই অভিযানের বিরোধিতা করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করবে মস্কো। মূলত ইউক্রেনের পূর্বে থাকা বিদ্রোহীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই পুতিন এই সিদ্ধান্ত নিলেন বলে খবর। এদিন তিনি ইউক্রেনের সেনাকেও আত্মসমপর্ণের নির্দেশও দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: একশো বছরেও বদলায়নি ব্লেডের আশ্চর্য নকশা, কেন জানেন?]
প্রসঙ্গত, গতকালই ইউক্রেনের বিদ্রোহীরা রাশিয়ার কাছে সামরিক সাহায্য চেয়েছিল বলে খবর। এই আবেদনের পরই মাঠে নেমে পড়ল মস্কো। যদিও রাশিয়ার কাছে মধ্যরাতে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। জানান, তিনি একাধিকবার পুতিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু অপরদিক থেকে কোনও উত্তর আসেনি।
বুধবার রাতে জেলেনস্কির আরজিতেও কর্ণপাত করলেন না পুতিন। আক্রমণের আশঙ্কায় নিজেদের আকাশপথ বন্ধও করে দিয়েছিল ইউক্রেন। তার পরেও অবশ্য শেষরক্ষা হল না। পড়শি দেশে হানা দিচ্ছে রুশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: মলদ্বারে লুকনো কেজি খানেক সোনা, পাচারের আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে পাকড়াও যাত্রী]
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। ইউক্রেন আসলে আমেরিকার হাতের পুতুল।” এবার ইউক্রেন আক্রমণের পথে হাঁটল তারা।