সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দুবছর ধরে চলছে ইউক্রেন যুদ্ধ। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত ও আহতের তালিকা। আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক কষা বাহুল্য। ক্রমে বাড়ছে খাদ্য সংকট। এই পরিস্থিতিতে বড় ঘোষণা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাফ জানালেন, উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর এই প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন পুতিন। প্রায় দুবছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করলেন, রাশিয়া ‘উদ্দেশ্য পূরণ হলে’ তবেই যুদ্ধ থামবে, শান্তি ফিরবে ইউক্রেনে। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পুতিন বলেন, “ইউক্রেনে আমাদের উদ্দেশ্য পূরণ হলে তবেই লড়াই থামবে। সেনা সরানো বা শান্তি ফেরানো নিয়ে ওরা (ইউক্রেন) আলোচনা করতে রাজি নয়। তাই আমরাও বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছি। হয় আমাদের সমঝোতায় আসতে হবে, না হয় বলপ্রয়োগে ফয়সলা করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘এটাই তাদের শেষ বছর’, হামাসের ‘জন্মদিনে’ বার্তা ইজরায়েলের]
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে জানিয়েছিলেন ২০২৪ সাল অবধি রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকলেই সন্তুষ্ট তিনি। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন কি না এই বিষয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। কিন্তু এবার যাবতীয় সংশয় কাটিয়ে ফেলেছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)! ফের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বলে রাখা ভালো, বছর দুয়েক আগে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার মসনদে থাকার জন্য একটি বিলে স্বাক্ষর করেছিলেন পুতিন। যার ফলে আগামী ১৫ বছর দেশের শীর্ষপদে তাঁর থাকা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। যা নিয়ে তোপ দাগেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, আজীবন ক্ষমতাসীন থেকে যেতে চান পুতিন। তাই ছলে বলে কৌশলে সংবিধানে বদল ঘটিয়ে যাচ্ছেন। এসবই স্বৈরাচারী মানসিকতার লক্ষণ। যদিও বিরোধীদের অভিযোগকে নস্যাৎ করে পুতিন জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাই তাঁর জন্য যথেষ্ট। এমনকী, তিনি নিজেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন, পরের বার তিনি আদৌ নির্বাচনে লড়বেন কি না।