সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমাদের ইতিহাস কি ওরা আদৌ বোঝে? সিএএ (CAA) কার্যকর হওয়ার পরে আমেরিকার ‘উদ্বেগ’কে এভাবেই তোপ দাগলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তাঁর কথায়, “আমারও নিজস্ব নীতি রয়েছে। সেই নীতি বলে, দেশভাগের সময়ে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের সাহায্য করা।” জয়শংকর আরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, বেশ কয়েকটি দেশেই ধর্ম বা জাতের ভিত্তিতে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) আবহে গত সোমবার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সিএএ চালু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিরোধীদের দাবি, এই আইনে যেহেতু মুসলিমদের উল্লেখ নেই সেই জন্য সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। তাদের দাবি, “গত ১১ মার্চ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত। ভারতে কীভাবে এই আইন কার্যকর হবে, সেদিকে কড়া নজর রাখছি।” মার্কিন বিবৃতির পালটা দিয়েছে ভারত।
[আরও পড়ুন: লোকসভার সঙ্গে কেন বিধানসভা ভোট নয় কাশ্মীরে? পাঁচ বছর আগের অজুহাতই ফের দিল কমিশন]
তার মধ্যেই সিএএ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের তুমুল সমালোচনা করলেন জয়শংকর। একটি সম্মেলনে গিয়ে তিনি বলেন, “ওদের নীতি বা গণতন্ত্রের আদর্শ নিয়ে আমি কিছু বলছি না। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের ইতিহাস নিয়ে ওদের সঠিক ধারণা নেই। বিশ্বের বহু জায়গা থেকে এমন মন্তব্য করা হয় যাতে মনে হয় ভারতে দেশভাগ হয়ই নি। দেশভাগ নিয়ে এমন কোনও সমস্যা হয়নি যেগুলো সিএএ সমাধান করতে পারে।”
জয়শংকরের কথায়, “একটা সমস্যার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সরিয়ে দিয়ে যদি কেবল রাজনৈতিকভাবে বিচার করা হয়, তাহলে আমিও বলতে পারি আমাদের আলাদা নীতি রয়েছে। আমার নীতি বলে, দেশভাগের সময় যেসমস্ত মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা।” এই সম্মেলন থেকেই বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকত্ব আইনের কথাও তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। ধর্ম, জাতি পরিচয়, সামাজিকতার ভিত্তিতে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন রয়েছে অনেক দেশেই। বিশ্বযুদ্ধের পরে বেড়েছিল এরকম আইনের ব্যবহার। তাহলে ভারতের সিএএ নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছে পশ্চিমি দুনিয়া? তোপ জয়শংকরের।