সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশোক গেহলটের কোনও ঘনিষ্ঠ নাকি শচীন পাইলট (Sachin Pilot)? আগামী বছর দেড়েক রাজস্থানের কুরসি কার দখলে থাকবে? সেটা ঠিক হয়ে যেতে পারে রবিবারই। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাড়িতে রবিবার দলের বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস (Congress)। সেই বৈঠকেই সম্ভবত ঠিক হয়ে যাবে রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন।
অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) সম্ভবত সোমবার কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়ন দেবেন। সব ঠিক থাকলে তাঁর সভাপতি নির্বাচিত হওয়া পাকা। কারণ দলের অন্দরে তিনি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গেহলট শুরুতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং কংগ্রেসের সভাপতি পদ দু’টিই নিজের হাতে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাহুলের (Rahul Gandhi) আপত্তিতে সেটা হয়নি। রাহুল প্রকাশ্যেই উদয়পুরের সংকল্প শিবিরের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ শপথ মনে করিয়ে দেন গেহলটকে।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে নয়, অষ্টমীতে কলকাতায় আসতে পারেন অমিত শাহ]
চাপে পড়ে শেষে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন গেহলট। রবিবার তাঁর বাসভবনে কংগ্রেস বিধায়করা বৈঠকে বসছেন তাঁর উত্তরসূরি ঠিক করার জন্য। তবে নিজে কুরসি ছাড়লেও রাজস্থানের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছাড়তে চাইছেন না গেহলট। বিশেষ করে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যান, সেটা মানতে চাইছেন না প্রবীণ নেতা। তিনি চান, তাঁর অনুগামী কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে দিল্লি থেকেই রাজ্যের রাশ নিজের হাতে রাখতে। কিন্তু কংগ্রেস সূত্রের যা খবর, তাতে শেষ পর্যন্ত সেটা হচ্ছে না। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে চলেছেন পাইলট। দলের হাই কম্যান্ডের আস্থা রয়েছে তাঁর উপরই। রবিবারের বৈঠকের জন্য অজয় মাকেনের পাশাপাশি দলের সিনিয়র নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছেন সোনিয়া।
[আরও পড়ুন: যত কাণ্ড যোগীরাজ্যে, ক্লাসে ধমকের ‘বদলা’ নিতে প্রিন্সিপালকে তিনবার গুলি ছাত্রের]
সূত্রের খবর, পাইলট গান্ধী পরিবারের আস্থা অর্জন করে ফেলেছেন। সব ঠিক থাকলে রবিবারের বিধায়কদের বৈঠকে তিনিই নেতা নির্বাচিত হবেন। গত দু’দিনে রাজস্থানের বেশ কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাইলট। স্পিকার সিপি যোশীর (CP Joshi) সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। তাতে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জল্পনা আরও গতি পেয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আসলে আগামী বছর ডিসেম্বরে মরুরাজ্যে নির্বাচন। তার আগে পাইলটের জায়গায় অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলে তিনি রাগে দল ছেড়ে যেতে পারেন, এই আশঙ্কা কংগ্রেস হাই কম্যান্ডকে চাপে রাখছে। তাই গেহলটের দাবি উপেক্ষা করে সোনিয়া পাইলটকেই এগিয়ে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।