সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক রোগ সারিয়ে দেওয়ার নামে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। এর জেরে একজন ভণ্ড সাধুকে বেধড়ক মারধর করল উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানা (Telangana)’র নিজামাবাদ জেলায়। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ওই কিশোরীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজামাবাদ (Nizamabad) জেলার বাসিন্দা ১৫ বছরের এক কিশোরীর মানসিক সমস্যা ছিল। সেই কারণে তাকে এক সাধুর কাছে নিয়ে গিয়েছিল তার বাবা-মা। ওই সাধু রোগ সারানোর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা তিন মাস ধরে কিশোরীটিকে লাগাতার ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির পেটে যন্ত্রণা শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। আর তখনই জানা যায় যে সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। এরপরই বাড়ির লোকের চাপাচাপিতে সাধুর কুকীর্তির কথা খুলে বলে কিশোরীটি।
[আরও পড়ুন: পালঘর সাধু হত্যা মামলায় উসকানিমূলক খবর সম্প্রচার! অর্ণব গোস্বামীকে নোটিস মুম্বই পুলিশের ]
এই ঘটনার কথা শুনেই ওই মেয়েটির আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে অভিযুক্ত সাধুর বাড়িতে চড়াও হয়। তারপর তাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক রাস্তায় বেরিয়ে পালাতে থাকে ওই সাধু। কিন্তু, তাতেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি অভিযুক্ত। সবাই মিলে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। যে ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি মেয়েটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস আগে তেলেঙ্গানার এক যুবতী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। পরে অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করে তেলেঙ্গানা পুলিশ। এই বিষয়ে এখনও মানবাধিকার কমিশনে মামলা চলছে।