সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুয়েক আগে #MeToo অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল পরিচালক সাজিদ খানের। ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত না গড়ালেও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কিন্তু এনিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করে দিয়েছে। এক বছরের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করেছে ইন্ডিয়ান ফিল্ম ডিরেক্টর অ্যান্ড টেলিভিশন অ্যাসোসিয়েশন (IFTDA)।
সাজিদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিনেত্রী যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। তার মধ্যে রয়েছেন ব়্যাচেল হোয়াইট, করিশ্মা উপাধ্যায়, সিমরন সুরি ও সলোনি চোপড়া। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ইন্টারনাল কমপ্লেন্টস কমিটি (ICC) গঠন করেছিল IFTDA। সাজিদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করে কমিটি। ৩১ অক্টোবর কমিটির নির্দেশে হাজিরাও দিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু সেখানে তিনি নিজের সাফাইয়ে কোনও মন্তব্য পেশ করতে পারেননি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, মহিলাদের প্রতি তাঁর ব্যবহার কোমল নয়। কিন্তু মহিলাদের যৌন হেনস্তার কথা অস্বীকার করেন সাজিদ। দাবি করেন, মহিলাদের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেগুলি তৈরি হয় ওই মহিলার সম্মতিক্রমেই। তিনি জোর করে কিছু করেন না।
ওই কমিটির নির্দেশেই IFTDA-তে সাজিদের সদস্যপদ এক বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এক বছর পর ফের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কমিটি। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সাজিদকে সদস্যপদ ফেরানো হবে কিনা। গোটা বিষয়টি জানিয়ে পরিচালককে ইতিমধ্যেই একটি চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাজিদের বিরুদ্ধে #MeToo অভিযোগ ওঠার পর ‘হাউজফুল ৪’ থেকে সরে যেতে হয় তাঁকে। টুইটারে সেকথা জানিয়েওছিলেন তিনি।
তবে শুধু অভিনেত্রীরাই নন, সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা সাংবাদিকও। তিনি লিখেছিলেন, এক বিনোদন চ্যানেলে কাজ করার সময় হোটেলে সাজিদ খানের সাক্ষাৎকার নিতে যান তিনি৷ সেই সময় তাঁকে পুরুষাঙ্গ নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন পরিচালক৷ প্রথমে সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি৷ কিন্তু সাজিদ বেশ কয়েকটি অশ্লীল ডিভিডি দেখান তাঁকে৷ ওই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷ কিন্তু সাজিদ তাঁর পথ আটকান৷ ঘাড় ও গলায় অশ্লীলভাবে স্পর্শ করেন৷
The post #MeToo অভিযোগের জের, পরিচালক সংগঠন থেকে নির্বাসিত সাজিদ খান appeared first on Sangbad Pratidin.