সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনাবাহিনীর অনুমতি মিললে তিন বছর পর এবার ফের ময়দানে বসছে বাজির বাজার (Maidan Bazi Bazar)। সরকারি নির্দেশ মেনে ৫০টি স্টল সেখানে থাকবে। কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজিই সেখান থেকে বিক্রি হবে। সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নবান্নের সবুজ সংকেত এসে গিয়েছে। সেনার ছাড়পত্র মিললে লক্ষ্মীপুজোর পর এই বাজার বসবে।
তারাবাজি, ফুলঝুরি, চরকি, হাওয়াই, তুবড়ি, রংমশাল-সহ আকাশে ওঠা বিভিন্ন রকমের বাজি বিক্রি হবে। ফলে সাধারণ মানুষ কালীপুজোর আগে সেখান থেকেই আতসবাজি কিনতে পারবেন। শব্দমাত্রা বেঁধেই বাজি বানানো হয়েছে তবে টালাতে যে বাজির বাজার বসেছিল, তা এবার না বসার সম্ভাবনার কথাই জানানো হয়েছে। একমাসের জন্য বাজির বাজারের লাইসেন্স দেওয়া হলেও দিন পনেরোর জন্য এই শহিদ মিনারের বাজির বাজার বসবে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, ‘‘শহিদ মিনারের কাছে ময়দানে যে বাজির বাজার বসে সেটা এবার বসবে। ২০১৯ সালের পর অবশ্য বসেনি। ফের এবার বসছে। এছাড়াও গোটা রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে মোট ৭০টা আতসবাজির মেলা হবে। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গেই হবে ২০টি। ময়দান বাদ দিয়ে বড় মেলা হবে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম, কাওয়াখালি, বেহালা অথবা বারাসতের মধ্যে কোনও একটি জায়গায়।’’
[আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে টিম ইন্ডিয়ার জয়জয়কার, দুই ইভেন্টে সোনা ও রুপো জয় মহিলা শুটারদের]
দিনকয়েক আগে বাজির বাজার সম্পর্কিত সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে কোনও বাজির বাজারে ৫০টির বেশি স্টল করা যাবে না। প্রতিটি স্টলের মধ্যে তিন মিটারের দূরত্ব রাখতে হবে। কোনও স্টলের গেট মুখোমুখি হওয়া চলবে না। বাজার চত্বরে স্থানীয় ভাষায় ‘বিস্ফোরক এবং বিপজ্জনক সামগ্রী’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। স্কুল, মন্দির, টেলিফোন বা বিদ্যুৎ ভবনের মতো জায়গা থেকে বাজির বাজারের দূরত্ব অন্তত ৫০ মিটার হতে হবে।
বাজি রাখার জন্য দাহ্য নয়, এমন বস্তু দিয়ে ছাউনি তৈরি করতে হবে। বিদ্যুৎ এবং আলোর ব্যবহার নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। স্টলের ৫০ মিটারের মধ্যে বাজি ফাটানো যাবে না। জরুরি চিকিৎসার বন্দোবস্তের পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা এবং দমকলের দু’টি গাড়ি অবশ্যই রাখতে হবে। বাবলা রায় বলেন, ‘‘বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩০ দিন সময় আছে। অর্থাৎ, দুর্গাপুজো থেকেই চাইলে বাজার বসে যেতে পারে। কিন্তু ময়দানে অতদিন ধরে থাকবে না। সাত দিনের বাজার বেড়ে পনেরো দিন হতে পারে।’’
[আরও পড়ুন: ‘২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে’, আশা মুখ্যসচিবের, সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা]