সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড। ব্যস, তাতেই কেল্লা ফতে! ওইটুকু সময়ের মধ্যেই গড়গড় করে বিশ্বের মোট ১৮৬টি নদী সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে গেল একরত্তি ছেলেটা। নদীর নাম থেকে শুরু করে কোন কোন দেশের মধ্যে দিয়ে বয়েছে, কোন মহাদেশের অংশ, নদীর উৎপত্তি-পতনস্থল, দৈর্ঘ্য (কিলোমিটারে)– কিচ্ছুটি বাদ দেয়নি আট বছরের সনভ রামশঙ্কর। আদপে সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত (জন্ম তামিলনাড়ুতে), বর্তমানে দুবাইয়ের বাসিন্দা। আর এভাবেই সে জিতে নিয়েছে বিশ্বসেরার মুকুট। গড়েছে বিশ্বরেকর্ড (World Record)। বিশ্বে সনভই প্রথম, যে এই বিশ্বরেকর্ড গড়ল, নতুন তৈরি হওয়া এই শ্রেণিতে। তার এই অসামান্য কৃতিত্বে গর্বিত আসমুদ্রহিমাচল।
ঘটনা গত ২৩ নভেম্বরের। ওইদিনই ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায়, একটি ‘ভার্চুয়াল ইভেন্টে’ নদীকাহিনি বর্ণনা করে সনভ। তাঁর কীর্তি, ‘লাইভ’ দেখানো হয় ফেসবুক এবং ইউটিউবে। তবে ভারতীয় এই বালকের বেনজির প্রতিভার স্ফুরণ শৈশবেই প্রতিফলিত হয়েছিল। ছোট থেকেই ভূগোল প্রিয় বিষয় ছিল তার। বসে বসে ইন্টারনেট ঘাঁটত আর মস্তিষ্কের খিদে মেটাত। বিশ্বের ১৯৬টি দেশের রাজধানী, মুদ্রা প্রভৃতির খতিয়ান ছিল তার নখদর্পণে।
[আরও পড়ুন: সিনেমার চিত্রনাট্যও হার মানবে! স্বামীর সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়ে লাহোরের যুবককে বিয়ে কলকাতার তরুণীর]
ছেলের উৎসাহ দেখেই ‘ইন্টেলিজেন্স কোচ’ সুশান্ত মাইসোরকরের কাছে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠান বাবা-মা। ওই ‘অক্সিজেন’টুকুই বোধহয় দরকার ছিল খুদের। টানা দু’মাস, নানা ধরনের ‘মেমরি টুল টেকনিক’-এর সাহায্যে প্রস্তুতি নিয়েছিল সনভ।
বিশেষ করে, বিশ্বের নদীকাহন মনে রাখতে ৬০ ঘণ্টার পরিশ্রম ব্যয় করেছিল। দুবাইয়ের জেমস, দ্য মিলেনিয়াম স্কুলের গ্রেড থ্রি-র পড়ুয়া সনভ তাঁর এই কীর্তি সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “বাবা-মা এবং মেন্টরকে ধন্যবাদ দেব। আমার মন্ত্র–কঠিন পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না।”