গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদের ধরনায় বসতে চায় বঙ্গ বিজেপি। ২৬-২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনার পরিকল্পনা। শনিবারই ধরনা কর্মসূচিতে আপত্তি জানায় পুলিশ। ধরনায় বসার অনুমতি চেয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মামলাকারীর আইনজীবী প্রশ্ন, “একই জায়গায় ১২ দিন ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের কেন আটকানো হচ্ছে?” মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
রবিবার কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায় রাজ্য বিজেপি। পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ধরনা কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, গান্ধীমূর্তির নিচে চাকরিপ্রার্থীরা ধরনা দিচ্ছেন। পাশাপাশি বোর্ডের পরীক্ষা চলছে। তাই মাইক বাজানোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা রযেছে।
[আরও পড়ুন: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি, অশোকনগরে পরিচিতর বাড়িতেই খুন তৃণমূল উপপ্রধান]
সন্দেশখালি ইস্যুতে এই ধরনা কর্মসূচির কথা কয়েকদিন আগেই জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির দাবি, সেনাবাহিনীর অনুমতি মিলেছে। বিজেপি অবশ্য অনড়, এই ধরনা কর্মসূচি করবেই। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ গেরুয়া শিবির। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির পরিকল্পনা, প্রধানমন্ত্রী আসা পর্যন্ত সন্দেশখালি ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে হবে। তাই এবার কলকাতাতে এই ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা ছড়াতে চায় তারা। ফলে পুলিশ বিজেপির এই কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ায় সরগরম হতে পারে কলকাতা।