সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপুল দেনা আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেহাল অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চলেছে সৌদি আরব (Saudi Arabia)। সেদেশের রাজা মহম্মদ বিন সলমন একটি সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে ২০০ কোটি ডলার গচ্ছিত রেখেছে সৌদি আরব। এই অর্থের পরিমাণ আরও বাড়ানো যায় কিনা তা খতিয়ে দেখবে এই সমীক্ষা। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে আর বেশি বিনিয়োগ করতেও আগ্রহী সৌদি রাজা। প্রসঙ্গত, আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে পাকিস্তানের মতো দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছে সৌদির প্রশাসন।
কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সৌদি রাজা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়েই দুই তরফের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। তারপরেই মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছে সৌদি প্রশাসন। সেদেশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বাড়াতে উৎসাহী সৌদি আরব। ২০০ কোটি ডলারের অঙ্ক বাড়িয়ে ৫০০ কোটি করা যায় কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হবে।”
[আরও পড়ুন: সরকার-বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পেরু, একদিনে নিহত ১৭, জারি কারফিউ]
সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, “পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নতির স্বার্থে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব।” প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসেই পাকিস্তানে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা করেছিল সৌদি প্রশাসন। তাছাড়াও বন্যা বিধ্বস্ত পাকিস্তানকে সাহায্য করতে ৯০০ কোটি ডলার দিতে চলেছে একাধিক দেশ। তার মধ্যে সৌদি আরবের তরফেও ১০০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। সৌদির এই পদক্ষেপে স্বভাবতই খুশি পাক অর্থনৈতিক মহল। তবে দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তুলতে প্রয়োজন বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার-সেই কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যেই চিন থেকে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার থেকেও ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় বন্যার পরে। ভয়াবহ বন্যায় ডুবে যায় দেশের এক তৃতীয়াংশ। তার জেরেই প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডার। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের অনুমান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই পাকিস্তানকে দরাজ হাতে ঋণ দিচ্ছে সৌদি আরব।